সুভাষচন্দ্র বসু, বেলাকোবা: স্কুলের সামনে ব্যস্ত সড়ক! চলছে বাস, লরি ও অন্যান্য গাড়ি। টিফিনের সময়ে রাস্তার ধারে খাবার খেতে ব্যস্ত পড়ুয়ারা। চলছে ছুটোছুটি। যার ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বেলাকোবা (Belakoba) বাজারের জিরো পয়েন্ট থেকে দশদরগা পূর্ত সড়ক লাগোয়া বেলাকোবা হাইস্কুল। স্কুলে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ১৭০০ ছুঁইছুঁই। এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের সংখ্যা প্রায় ৮০০। এই ৮০০ ছাত্রের জন্য রয়েছে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা। বাকি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি ছাত্ররা মিড-ডে মিলের আওতায় না আসাতে, তারা স্কুলের প্রধান গেট দিয়ে সড়ক লাগোয়া দোকানগুলিতে খাবার খেতে ভিড় জমায়।
ব্যস্ত এই সড়কে প্রতিনিয়ত চলাচল করে বাস, ট্রাক, টোটো, মোটর সাইকেল, বড় বড় গাড়ি। কোনও কোনও সময় ডাম্পার। এর ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্কুলের অভিভাবক ছত্র সরকার, শুভঙ্কর সরকাররা। একই অভিযোগ করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মদন দে।
বেলাকোবা বাসের টাইমকিপার কমল দাস উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘এতদিন দুর্ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু যে কোনও মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সামনে স্কুল বলে সতর্কীকরণ স্ট্যান্ডপোস্ট লাগানো উচিত।’ বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের ভাবা দরকার বলে তিনি জানান।
এ সম্পর্কে টোটোচালক অশোক দাস বলেন, ‘যেভাবে রাস্তাজুড়ে ছাত্ররা টিফিন খাওয়ার জন্য জড়ো হয় তাতে যে কোনও সময় টোটো দুর্ঘটনা হতে পারে। তখন গরিব টোটোচালকের ওপরে হামলা হবে। বিকল্প হিসাবে স্কুলের পশ্চিমদিকের গেট খুলে সেখানে খাওয়ার দোকান বসালে এই দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাবে ছাত্ররা।’
বিষয়টি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মজাহারুল হক বলেন, ‘পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রদের জন্য রয়েছে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা। বাকি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররা টিফিন পিরিয়ডে স্কুল ক্যাম্পাস ছেড়ে পূর্ত সড়ক সংলগ্ন দোকানগুলোয় খাবার খেতে যায়। এ সম্পর্কে যে প্রস্তাব উঠে এসেছে তা শীঘ্রই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’