উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে এতদিন ড্রিম ১১য়ের নাম দেখা যেত। কিন্তু হঠাৎ ড্রিম ১১য়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ হয় বিসিসিআইয়ের (BCCI)। অনলাইন গেমিং প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন বিল, ২০২৫ পাস হওয়ার পরেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। তবে নতুন স্পনসর খুঁজতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিসিসিআই।
এবার ওই স্পনসর থেকে আরও বেশি টাকা আয়ের লক্ষ্যে রয়েছে বোর্ড। নতুন স্পনসরের থেকে ৪৫০ কোটি টাকার বেশি আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। যা পুরনো স্পনসরের থেকে প্রায় ১০০ কোটি বেশি। ২০২৫-২৮ পর্যন্ত তিন বছরের জন্য নতুন স্পনসর খুঁজছে বিসিসিআই। যদিও পরিস্থিতি কিছুটা হলেও জটিল। কারণ, এশিয়া কাপের (Asia Cup) আগে জার্সিতে নতুন স্পনসরের নাম ছাপানো বেশ কঠিন। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে মহিলাদের বিশ্বকাপ। তার আগে বোর্ড নতুন স্পনসর পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী বোর্ড।
২০২৫ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ১৪০টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। যার মধ্যে দেশে ও বিদেশে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ তো রয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বকাপের মতো আইসিসির (ICC) টুর্নামেন্টের সঙ্গে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের টুর্নামেন্টও রয়েছে।
বিসিসিআই সুত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রতি ম্যাচ থেকে তারা ৩.৫ কোটি টাকা তুলতে চাইছে। যেখানে ড্রিম ১১ ম্যাচ প্রতি ৩ কোটি টাকা দিত। এছাড়া আইসিসি ও এসিসি টুর্নামেন্ট থেকে প্রতি ম্যাচে ১.৫ কোটি টাকা ঘরে টুলতে চাইছে বোর্ড কর্তারা।
তবে শোনা যাচ্ছে, দুই বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছে বোর্ড। স্পনসর হওয়ার জন্য টয়োটা মোটর কর্পোরেশন (Toyota Motor Company) ও ফিনটেক স্টার্ট আপ সংস্থার (Fintech start-up firm) সঙ্গে কথা বলছে বিসিসিআই। কয়েকদিন পরে এশিয়া কাপ খেলতে নামবে ভারত। সেখানে সম্ভবত ভারতীয় দলের জার্সিতে কোনও স্পনসরের নাম থাকছে না। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে বোর্ডের তরফে এখনও স্পনসর নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তাই এশিয়া কাপে হয়ত ভারতের জার্সিতে কোনও স্পনসরের নাম দেখা যাবে না।