উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (BPL) দল চিটাগং কিংসকে অবশেষে সাসপেন্ড করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB)। জানা গিয়েছে, আর্থিক লেনদেনের শর্ত পূরণে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকানা সংস্থা এস কিউ স্পোর্টসের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে বোর্ড। বিসিবির দাবি, বকেয়া ৪৬ কোটি টাকার বেশি পাওনা আদায়ের জন্যই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যদিও দলটির কর্ণধার সামির কাদের চৌধুরী এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এবং এটিকে বেআইনি বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বিসিবির অভিযোগ, বিপিএলের প্রথম দুই বছরের জন্য চিটাগং কিংসের কাছে বিসিবির পাওনা ছিল ১৭ কোটি টাকা। গত বিপিএলের আগে ১৭ কোটি টাকার বেশিরভাগ মকুব করে মাত্র ৩.৫ কোটি টাকা পরিশোধের শর্ত দেয় বিসিবি। কিন্তু দল কর্তৃপক্ষ সেই অর্থও নির্ধারিত সময়ে দিতে ব্যর্থ হয়। ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ছাড়াও ক্রিকেটার, কোচ এবং অন্যান্য স্টাফদের বেতন, হোটেল এবং যাতায়াত বাবদও বিপুল অর্থ বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ বিসিবির।
এই বিষয়ে এস কিউ স্পোর্টসের তরফে সামির কাদের চৌধুরীর অভিযোগ, বিসিবির সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই করার পরেও বোর্ডের পক্ষ থেকে তাঁকে সই করা কোনও কাগজ দেওয়া হয়নি। সামির দাবি করেন, যেহেতু বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন, তাই বিসিবির পাঠানো আইনি নোটিশটি বেআইনি।
এই বিষয়ে বিসিবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, “চিটাগং কিংস কর্তৃপক্ষ আইনগত এবং আর্থিক দায়বদ্ধতা পূরণে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তারা ক্রিকেটার ও স্টাফদের বেতন মেটায়নি।” বিসিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার আইনি পথেই সমস্যার মোকাবিলা করতে চান তাঁরা।
উল্লেখ্য, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ চিটাগং কিংস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নতুন নয়। এর আগে সাময়িকভাবে দলটির সঙ্গে চুক্তি বাতিলও করা হয়েছিল।এই প্রসঙ্গে বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, “যে দল মাত্র ৩.৫ কোটি টাকা দিতে পারে না, তাদের ওপর আস্থা রাখা সম্ভব নয়।”