মালদা: চরম বিপাকে মালদা শহরের ঐতিহ্যবাহী বার্লো বালিকা বিদ্যালয়। চাকরি হারিয়েছেন এই স্কুলের ৪ জন শিক্ষক ও ১ জন অশিক্ষাকর্মী। আবার ওই চারজনের মধ্যে দুইজনই ইংরেজিমাধ্যমের বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, ইংরেজিমাধ্যমের উচ্চমাধ্যমিকস্তরে বিজ্ঞান বিভাগে ২০০ জন পড়ুয়া রয়েছে। ওই দুই শিক্ষিকা পদার্থ বিজ্ঞান ও জীব বিজ্ঞান পড়াতেন। ফলে এই মুহূর্তে স্কুলের পঠনপাঠন নিয়ে সমস্যায় পড়ে গেল স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদিন সুপ্রিম রায়ের পর বার্লো স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপশ্রী মজুমদারের মন্তব্য, ‘এত সংখ্যক শিক্ষকের একসঙ্গে চাকরি হারানো আমাদের জন্য চরম বিপর্যয়। স্কুল শিক্ষার মান এতে ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও এখনও শিক্ষা দপ্তর কর্তৃক কোনও নির্দেশিকা পাইনি। তাই এখনও তাঁরা কাজে থাকছেন।’
বছর কতক আগে অভিযোগ উঠেছিল, ২০১৮ সাল থেকে কার্যত জোর করে ইংরেজিমাধ্যমের পড়াশোনা চাপিয়ে দেওয়া হলেও, দেওয়া হয় না একজন শিক্ষিকাও। স্কুল কর্তৃপক্ষের বার বার আবেদনের পরেও হয়নি সুরাহা। বাধ্য হয়েই বাংলামাধ্যমের শিক্ষিকাদের দিয়েই শুরু হয় পঠনপাঠন। কিন্তু পড়াশোনার মান যা তা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন অভিভাবকরা। সেইসময় দিনের পর দিন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকরা। তবুও সমস্যা না মেটায় স্কুলে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর টনক নড়ে প্রশাসনের। ইংরেজিমাধ্যমের বিজ্ঞানের জন্য দুইজন শিক্ষিকা দেওয়া হয়। তারপর দুই বছর পড়াশোনা সঠিকভাবেই চলছিল। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম রায়ে দুই শিক্ষিকার চাকরি হারানোয় সমস্যা আরও তীব্র হল।
এই প্রসঙ্গে দীপশ্রী মজুমদার জানিয়েছেন, ‘বিজ্ঞান বিভাগের দুইজন শিক্ষিকা কমে যাওয়ায় পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সমস্যা তো হবেই।’ তবে এই ঘটনায় চাকরিহারা শিক্ষিকারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এদিন স্কুলে গিয়ে দেখা গেল কান্নায় চোখের জল ফেলছেন তাঁরা। গোটা টিচার্স রুমই যেন শোকস্তব্ধ।