বর্ধমান: প্রতিবছরই ২১ শে জুলাই শহীদ স্মরণ সভার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সভায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শোনার জন্য পাহাড় থেকে শুরু করে সমতলের হাজার হাজার মানুষ এদিন কলকাতার ধর্মতলায় জড়ো হন। রাজনৈতিক সভার এই দিনটির প্রভাব ধর্মতলার মতোই অনেকটা পড়ে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়েও। কারণ ২১ জুলাই শহীদ স্মরণ সভায় যাওয়ার আগে এবং সভা শেষে ফেরার পথে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের বাসগুলি এসে দাড়ায় শক্তিগড়ের এই ল্যাংচার দোকানগুলির সামনেই। ল্যাংচার দোকান গুলি তখন কার্যত তৃণমূলের সমাবেশ স্থলের রুপ নেয় । ভিড় সামলাতে শক্তিগড়ের ল্যাংচা বাজার এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়।
এবার অবশ্য জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্যোগে শক্তিগড়ে দুর্গাপুরমুখী জাতীয় সড়কের ধারে খোলা মাঠে ল্যাংচা ব্যবসায়ীদের নিয়ে দুদিনের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ২০ জুলাই মেলা শুরু হয়। জাতীয় সড়কের ধারে থাকা ল্যাংচা ব্যবসায়ীরা সেই মেলায় দোকান বসান। এদিন খরিদ্দারেরা কেউ মেলার দোকান থেকে কেউ আবার জাতীয় সড়কের ধারের স্থায়ী দোকানে গিয়ে ল্যাংচা ও সীতাভোগ খেলেন। শুধু দোকানে বসে খাওয়াই নয়, বাড়ির লোকেদের জন্যেও প্যাকেট প্যাকেট ল্যাংচা , সীতাভোগ ও মিহিদানা কিনে নিয়ে গেলেন অনেকে। পুলিশের দাবি, ‘প্রথম বছরেই ল্যাংচা মেলায় বেশ ভালো বিক্রি হয়েছে। জাতীয় সড়কও যানজট মুক্ত রাখা গিয়েছে।’