প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান: জলাধার থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্ত্বেও লাগাম পড়েনি দামোদর থেকে বালি তোলায়। আর তারই মাশুল গুনতে হল একধিক বালি বোঝাই লরিকে। এদিন বালি তুলতে নেমে দামোদরের জলে ডুবে বিকল হল প্রায় ১৫ টি বালি বোঝাই লরি। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রাম এলাকায়। জোর তৎপরতায় লরিগুলিকে উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে।
দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে দুদিন ধরে লাগাতার জল ছাড়া হচ্ছে। জলধার থেকে যে জল ছাড়া হবে তা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। সেইমত মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। তারই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দু’দিন ধরে বৃষ্টিপাতও হয়ে চলেছে। যে কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎতই গোহগ্রাম পঞ্চায়েতের সোন্দা বালি ঘাটে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি, কারণ সেসময় সেখানে বালি তুলতে নেমেছিল প্রায় ১৫ টি লরি।
ঘটনা প্রসঙ্গে গোহগ্রাম এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল শেখ ও কালীপদ ঘোষ এদিন জানান, ১৫ টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে আটকে পড়ে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তেই নদীর জল হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলিকে নদী থেকে তোলার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে চালকরা। কিন্তু সামনের দিকে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরিগুলি নদী থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়ে ওঠে না। এরপর জেসিবি মেশিন দিয়ে বিকল হওয়া দু’টি লরিকে জল থেকে তোলার চেষ্টা করা হলেও তাতে লাভের লাভ কিছু হয় না। নদীর জল না কমা পর্যন্ত লরিগুলিকে দামোদর থেকে তোলা বেশ চাপের বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।