প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান: মাথা একটি হলেও হাত ও পা চারটি করে। এমনই এক অদ্ভুত দর্শন শিশুর জন্ম নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলা হয়, কনজয়েন্ট টুইন বা সিয়ামিজ যমজ শিশু।প্রসূতিকে বাঁচাতে গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহের মাথায় শনিবার ভাতারের একটি বেসরকারী হাসপাতালে অস্ত্রপচার করে শিশুটির প্রসব করান সিনিয়র গাইনি সার্জেন কৃষ্ণপদ দাস। চিকিৎসক জানিয়েছেন ,ভূমিষ্ট হওয়ার পরেই শিশুটির মৃত্যু হয়। তবে প্রসূতি সুস্থ রয়েছেন। তাঁকে এখন পর্যবেক্ষণে রাখা রয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৯ বছর বয়সী প্রসূতি বিভা মণ্ডলের বাড়ি নাদনঘাট থানার সাহাজাদপুরে। প্রসূতির গর্ভে একটি মাথা এবং চার হাত ও চার পা বিশিষ্ঠ শিশুর বেড় ওঠার বিষয়টি আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ধরা পড়ে। এমনকি আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে শিশুটির মাথায় টিউমার থাকার অস্তিত্বও ধরা পড়ে। বিষয়টি জেনে চিন্তায় পড়ে যান প্রসূতির স্বামী জয় মণ্ডল। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শুক্রবার জয় তাঁর স্ত্রীকে ভর্তি করেন ভাতারের ওই বেসরকারী হাসপাতালে।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র গাইনি সার্জেন কৃষ্ণপদ দাস শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ প্রসূতির সিজার করেন।তখনই শিশুটির অদ্ভুত শারীরিক গঠন দেখে চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা কার্যত চমকে ওঠেন। তবে ভূমিষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিশুটির মৃত্যু হয়। চিকিৎসক কৃষ্ণপদ দাস বলেন,“এই ধরনের কনজয়েন্ট টুইন খুবই বিরল। প্রতি দুই লাখে এই ধরনের একটি শিশুর জন্ম হয়। শেষের দিকে যখন জাইগটের বিভাজন হয় তখন কনজয়েন্ট টুইনের রুপান্তর ঘটে।“