প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান: রাঢ় বঙ্গের রেল যাত্রীদের দুঃখের অবসান ঘটাতে অনেক দিন আগেই পূর্ব রেল ও দক্ষিণ পূর্ব রেল পথের মিলন ঘটানো হয়ে গিয়েছিল। তবে পথের মিলন ঘটে গেলেও দুঃখ জিইয়ে ছিল। তাই অনেক দুঃখ কষ্ট সহ্য করেই কলকাতায় পৌঁছাতে হচ্ছিল বাঁকুড়া সহ পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণ দামোদর এলাকার বাসিন্দাদের। সেই কারণে বি.ডি.আর রেল তাদের কাছে কার্যত “বড় দুঃখের রেল” হিসাবেই পরিচিত ছিল। শনিবার অবশেষে ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সেই পরিচিতির অবসান ঘটালেন। ভার্চুয়ালি এদিন তিনি পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়া ভায়া মসাগ্রাম হয়ে সোজা হাওড়া স্টেশন পৌঁছে যাওয়ার ট্রেন পরিষেবা উদ্বোধন করেন। আগামী ৩০ জুন থেকে চালু হচ্ছে পুরুলিয়া-হাওড়া ভায়া মসাগ্রাম ট্রেন চলাচল। বহু দিনের প্রতিক্ষার অবসান ঘটায় স্বাভাবতই খুশি রাঢ় বঙ্গের বাসিন্দারা।
শুধু ট্রেন পরিষেবার উদ্বোধনই নয় ট্রেন চলাচলের সময়সূচিও ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে পূর্ব রেল। কোন কোন স্টেশনে ট্রেন থামবে, সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে। এদিন হাওড়া-পুরুলিয়া হাওড়া ভায়া মসাগ্রাম মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনের উদ্বোধন হল। তবে আগামী সোমবার থেকে যে আপ ৬৮১২১ হাওড়া-পুরুলিয়া মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেন নিয়মিত পরিষেবা দেবে তা এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে যে, আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে পুরুলিয়া-হাওড়া মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেন নিয়মিত চলবে। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছ’দিন হাওড়া-পুরুলিয়া-হাওড়া মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানো হবে। তবে পুরুলিয়া-হাওড়া মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেন শুধুমাত্র শনিবার চলবে না। রেল দপ্তর থেকে এও জানানো হয়েছে যে, ‘মসাগ্রাম সহ ৫০ টি স্টেশনে দাঁড়াবে পুরুলিয়া-হাওড়া মেমু ট্রেন। এই ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ায় পুরুলিয়া যাওয়া যেমন সহজ হল তেমনি ইন্দাস, সোনামুখী-সহ বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকার মানুষেরও প্রভূত উপকার হল। বর্ধমান কর্ড শাখার যাত্রীরাও উপকৃত হবেন এর দ্বারা।