শান্ত বর্মন, জটেশ্বর: বাংলাদেশি (Bangladeshi Citizen) সন্দেহে এক ব্যক্তি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন পঞ্চায়েত সদস্য। ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, দেড় বছর আগে জটেশ্বর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের লিচুতলা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে আশ্রয় নেন জগবন্ধু মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি। এর কিছু দিন পরেই জটেশ্বর বাজার সংলগ্ন ধ্যানার পুল এলাকায় একটি ছোট ছাপরা ঘর বানিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি। দেড় বছর হয়ে গেলেও কোন ভারতীয় নথি তার কাছে ছিল না। কোথাও নথির জন্য তাঁরা আবেদনও করেননি।
এই অবস্থায় জগবন্ধু মণ্ডলের ছেলে অমল মণ্ডল তার মামা রাধেশ্যাম শাখারিকে বাবা বানিয়ে বিভিন্ন নথিপত্র বানানোর কাজ শুরু করে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি জটেশ্বর ২ গ্রামপঞ্চায়তের ১৪৭ নম্বর বুথে ভোটার লিস্টে নাম তোলার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর কাছে আধারকার্ড ও উত্তর প্রদেশের একটি জন্ম শংসাপত্র জমা দেন। সন্দেহ হওয়ায় পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ বর্মন বিষয়টি ব্লক প্রশাসন ও জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিশকে লিখিতভাবে জানান। জগবন্ধু মণ্ডল বলেন, ‘আমি বহু বছর আগে এখানে আত্মীয়ের মাধ্যমে জমি কিনে রেখেছি। তার পর স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে জটেশ্বরে আসি। আমাদের এখনও কোন কাগজপত্র নেই। ছেলে তার মামাকে বাবা হিসেবে দেখিয়েছে এটা সত্যি।’ তবে জগবন্ধু মণ্ডলের ছেলে ওরফে অমল মণ্ডল সংবাদ মাধ্যমকে দেখেই এদিন গা ঢাকা দেন। ফালাকাটার বিডিও অনীক রায় বলেন, ‘আগামীকাল পুলিশের ও ব্লক প্রশাসনের তরফে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।’ অভিযোগকারি দিলীপ বর্মন বলেন, ‘ওই পরিবারটি দেড় বছর আগেই যখন আমার এলাকায় বাড়ি করে তখনই ভোটার কার্ডে নাম তৈরির জন্য কাগজপত্র চাওয়া হয়, কিন্তু তখন তারা জানিয়েছিল কোনও কাগজপত্র তাদের নেই। সেই পরিবারের লোকজন হঠাৎ করে কিছু কাগজপত্র এনে দিয়ে ভোটার লিস্টে নাম তুলে দেওয়ার কথা বলায় সন্দেহ হয়।’