Bangladesh-Pakistan | বাংলাদেশ-পাকিস্তানের বন্ধুত্ব আরও মজবুত! কূটনীতিকদের জন্য ভিসাবিহীন প্রবেশাধিকারে সম্মত দুই দেশ

Bangladesh-Pakistan | বাংলাদেশ-পাকিস্তানের বন্ধুত্ব আরও মজবুত! কূটনীতিকদের জন্য ভিসাবিহীন প্রবেশাধিকারে সম্মত দুই দেশ

ব্লগ/BLOG
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশই মজবুত হচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বন্ধুত্ব (Bangladesh-Pakistan)। এবার থেকে দুই দেশের কূটনীতিক (Diplomats) এবং সরকারি আধিকারিকরা (Officers) কোনও রকম ভিসা ছাড়াই একে অপরের দেশে প্রবেশ করে পারবেন (Visa-free entry)। এই বিষয়ে একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসলামাবাদ এবং ঢাকা। বুধবার ঢাকায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী মহসিন নকভি এবং বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর মধ্যে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে, কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসার প্রয়োজনীয়তা অপসারণের জন্য দুই দেশ পারস্পরিক সমঝোতায় পৌঁছেছে। তবে কবে থেকে ভিসাবিহীন প্রবেশ শুরু হবে, তা নিয়ে কোনও তারিখ এখনও দেওয়া হয়নি।

ভিসাবিহীন প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বুধবারের বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিরা সন্ত্রাসবাদ দমন, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, পুলিশ প্রশিক্ষণ, মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং মানবপাচার মোকাবেলার মতো বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা করেছেন। এনিয়ে নতুন পরিকল্পনা পরিচালনা ও সমন্বয়ের জন্য একটি যৌথ কমিটি তৈরি করবে দুই দেশে। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের সচিব খুররম আঘা ইসলামাবাদ থেকে এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন। সেই সঙ্গে পুলিশি প্রশিক্ষণেও দুই দেশ একে অপরকে সাহায্য করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল শীঘ্রই ইসলামাবাদে পাকিস্তানের জাতীয় পুলিশ অ্যাকাডেমি পরিদর্শন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণমন্ত্রীকে ‘গার্ড অফ অনার’ দিয়ে স্বাগত জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ভবিষ্যতের সহযোগিতার জন্য পাক মন্ত্রীর এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, স্বাধীন দেশ হিসেবে গঠনের পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব একটা ভালো পর্যায়ে ছিল না। উলটে নয়াদিল্লির সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিল ঢাকা। কিন্তু গত বছর বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরই পরিস্থিতি বদলে যায়। তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপরই নয়াদিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। আর এরপরই থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছে ইউনূসের প্রশাসন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *