উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত বিদ্বেষ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। একসময় যেই দেশ বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে প্রাণপাত করেছে তাদের বিরুদ্ধেই মুহাম্মদ ইউনূসের (Md Younus) শাসনাধীন বাংলাদেশে শুরু হয়েছে বিষবাষ্প ছড়ানোর খেলা। আর এই খেলায় মদত দিছে মৌলবাদী রাজনৈতিক দলগুলো। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকাও সন্দেহের ঊর্দ্ধে নয়। তারাও অনেক ক্ষেত্রেই ভারতবিরোধী শক্তিগুলিকে মদত দিচ্ছে। যে পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে জনরোষ গর্জে উঠেছিল বাংলাদেশের রাজপথে, সেই পাকিস্তানই এখন তাদের পরমবন্ধু।
ফলে একসময়ের সহযোগী বাংলাদেশ থেকে এবার মুখ ফেরাতে শুরু করেছে ভারতও। গতকালই দেশের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বানিজ্য কার্যত বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। বলা হয়েছে পোশাক, ফল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য (কেক, চিপ্স বা স্ন্যাক্স) সহ আরও কিছু পণ্য আর দেশের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না। তুলো, সুতো, প্লাস্টিকের পণ্য এবং কাঠের আসবাবপত্র এই তালিকায় রয়েছে। অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা বা মিজ়োরামের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে এগুলো আর ভারতে ঢুকতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংরাবান্ধা ও ফুলবাড়ি দিয়েও এই পণ্য ঢুকতে দেওয়া হবে না। এই সব পণ্যের জন্য খোলা রাখা হয়েছে শুধুমাত্র কলকাতা ও মুম্বইয়ের সমুদ্র বন্দর। কোন কোন পণ্য এই তালিকায় রয়েছে শনিবার সেই তালিকা দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অধীনে থাকা বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর (DGFT)। এই সিদ্ধান্তের ফলেই রীতিমতো চাপে পড়ে গেছে ইউনূসের বাংলাদেশ। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ-এর (জিটিআরআই) একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, স্থলবন্দর বন্ধ করার ফলে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ আমদানিতে কোপ পড়তে চলেছে। ভারতীয় মুদ্রায় এই সমস্ত পণ্যের বার্ষিক আমদানির মোট মূল্য সাড়ে ছ’হাজার কোটি টাকার বেশি।
ইতিমধ্যেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে দিয়েছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রায় ১৫৭ কোটি ডলারের জিনিসপত্র এসেছিল।এর বেশির ভাগই তৈরি করা পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।