Bangladesh | বাংলাদেশ ভুলে গেল সুচিত্রা সেনকে, মহানায়িকার নাম রইল না পাবনা কলেজের ছাত্রাবাসে   

Bangladesh | বাংলাদেশ ভুলে গেল সুচিত্রা সেনকে, মহানায়িকার নাম রইল না পাবনা কলেজের ছাত্রাবাসে   

শিক্ষা
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইউনূস জমানায় এবার বাংলাদেশ থেকে মুছে গেল সুচিত্রা সেনের নাম। ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকেই টালমাটাল পরিস্থিতি বাংলাদেশের। ছাত্র আন্দোলনের জেরে সেই সময় দেশ ছড়তে বাধ্য হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান উপদেষ্টার পদ পেয়ে মোহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় এসেই নাম পরিবর্তন করেন বঙ্গবন্ধুর নামে থাকা একাধিক স্থাপত্যের। এবার এবার ঘটাল বড় কাণ্ড।

ইউনূসের হাতে বাংলাদেশের ক্ষমতা আসার পর থেকেই একের পর এক ভারত বিরোধিতার নজির গড়ে চলেছে পদ্মাপারের এই দেশ। তবে এবার ঘটাল বড় কাণ্ড। পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে থাকা এক ছাত্রীনিবাসের নাম ছিল ‘সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস’। এবার আচমকাই বদলে দেওয়া হল নাম। সুচিত্রা সেনের নাম বদল করে রাখা হল ‘জুলাই ছাত্রীনিবাস’। এখানেই শেষ নয়, ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে নামাঙ্কিত দুটি হলের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তিনটি ছাত্র ও ছাত্রীনিবাসের পরিবর্তিত নামের ফলক উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আউয়াল মিঞা। সুচিত্রা সেনের নাম বদলের পাশাপাশি বদলে দেওয়া হয়েছে শেখ রাসেল ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাসের নাম। শেখ রাসেল ছাত্রাবাসের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিজয়-২৪’ ছাত্রাবাস এবং বেগম ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাসের নাম দেওয়া হয়েছে আয়শা সিদ্দিকা ছাত্রীনিবাস।

গোটা ব্যাপারটা নিয়ে এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আউয়াল মিঞার দাবি, ‘জুলাই বিপ্লব–পরবর্তী প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে ছাত্র ও ছাত্রীনিবাসগুলোর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।’

জানা গিয়েছে, বাংলার কিংবদন্তি মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্মস্থান বাংলাদেশের পাবনা। সেখানের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে মা–বাবা ও ভাইবোনের সঙ্গে শৈশব ও কৈশোর কাটিয়েছেন মহানায়িকা। ১৯৪৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ের পর স্বামীর হাত ধরে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় চলে আসেন সুচিত্রা। ১৯৬০ সালে সুচিত্রা সেনের বাবা করুণাময় দাশগুপ্তও পাবনার বাড়িটি জেলা প্রশাসনের কাছে ভাড়া দিয়ে কলকাতায় চলে আসেন। পরবর্তীতে সেই বাড়িটি দখল হয়ে যায়। ২০১৪ বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই বাড়িটি দখলমুক্ত করে সেখানে বর্তমানে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা তৈরি করা হয়েছে। দুই বাংলায় তথা বাঙালীর মনে সুচিত্রা সেনের আবেগ থাকলেও বাংলাদেশের ভারত বিদ্বেষের কারণে সেটা আজ অতীত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *