উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাত পোহালেই বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশ করবে নতুন নোট। দেশের প্রতিটি ব্যাংকেই চলে আসবে নতুন টাকার বাণ্ডিল। এই নতুন নোটে থাকবে না বঙ্গবন্ধুর ছবি। হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই বাংলাদেশে নোট বদলের দাবি তুলেছিলেন ইউনূস অনুগামীরা। সেই মতোই হল পদক্ষেপ। নতুন টাকায় রইল না মুজিবের ছবি। ১ জুন, রবিবার থেকে নতুন টাকা ইস্যু করা শুরু করেছে বাংলাদেশ।
আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে বাংলাদশে নতুন নকশার নোট পাওয়া যাবে ঢাকার প্রতিটি ব্যাংকের শাখায়। কাল থেকেই সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এই নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে সীমিত পরিসরে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোট বিতরণ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল অফিস। নতুন নোটের প্রচুর চাহিদা থাকলেও এই মুহূর্তে ঢাকা ছাড়া দেশের আর কোথাও সরবরাহ করতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। ইদের ছুটির পর পর্যায়ক্রমে দেশের প্রত্যেকটি জেলার ব্যাংকের শাখাগুলিতে নতুন নোট বিতরণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা গেছে, ইদের আগে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকা মূল্যমানের নোট ছাপানো সম্ভব হয়েছে। এসব নোটের মধ্যে বেশির ভাগই ব্যাংকগুলোকে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এএফপি-কে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের নতুন ব্যাংকনোটে সে দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নানা সৌধের ছবি জায়গা পাবে। থাকবে না কোনও মানুষের ছবি।’ তিনি আরও জানান, নতুন নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সব কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রা চালু থাকবে।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিসের বাইরে আজ যে ১০টি ব্যাংকে টাকা দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, পূবালী, উত্তরা, ডাচ্-বাংলা, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ ইসলামী ও ব্র্যাক ব্যাংক। এসব ব্যাংকের লোকাল অফিসকে নতুন টাকা দেওয়া হয়েছে। কাল অন্য ব্যাংককে নতুন টাকা দেওয়া হবে। এসব টাকা কাল সোমবার থেকে বিতরণ শুরু করবে ব্যাংকগুলো। তবে কোন ব্যাংক কোন শাখার মাধ্যমে নতুন টাকা বিতরণ করবে, তা নিজেরাই ঠিক করবে।
গত অগাস্টে হাসিনা সরকারের পতনের পর টাকা ছাপানো বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ, সব ধরনের টাকা ও ধাতব মুদ্রায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছিল। পাশাপাশি যেসব নোট ছাপানো ছিল, তা–ও বাজারে ছাড়া বন্ধ করে দেয়। ফলে ছেঁড়াফাটা ও পুরোনো ময়লা নোটে ভরে গিয়েছে বাংলাদেশের বাজার। সেই কারণেই নতুন টাকার চাহিদা এখন তুঙ্গে।