বালুরঘাট: ১১ বছর আগে বালুরঘাটে হওয়া আদিবাসী প্রৌঢ়ার গণধর্ষণ কাণ্ডের রায় ঘোষণা হল মঙ্গলবার। এদিন বালুরঘাট জেলা আদালতের প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটিস স্পেশাল কোর্টে বিচারপতি সন্তোষ কুমার পাঠক দোষী তিন তরুণকে ভারতীয় দণ্ড বিধির ৪৫৮ ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, ৩৭৬ডি ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দু বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও বিচার চলাকালীন সময়ে কয়েক বছর আগেই বার্ধক্য জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলার। তবে অবশেষে মৃত্যুর পরে হলেও বিচার পেলেন নির্যাতিতা।
বালুরঘাট জেলা আদালতে সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী জানান, ‘তিনজন আসামি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংশোধনাগারে বন্দি আছেন। তাদের কাস্টডি ট্রায়াল চলছিল। তাই তাদের পক্ষের আইনজীবী বারবার কোর্টের কাছে তাদের সাজা কমানোর জন্য আবেদন পেশ করছিলেন। কিন্তু প্রসিকিউশনের তরফে ঘটনার নৃশংসতা ও নির্যাতিতার উপর অত্যাচার বিবেচনা করে ঘোরতর বিরোধিতা করা হয়েছিল। পুলিশের তরফেও তদন্ত যথেষ্ট ভালো হয়েছিল। সমাজে নিকৃষ্ট কাজ করা থেকে বিরত রাখতে এদিনের রায় একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করল।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী শেখর দাশগুপ্ত জানান, ‘এদিনের রায় সম্পূর্ণটা পড়ে ওঠা হয়নি। রায়টি বিস্তারিত পড়ার পরে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিষয়টি চিন্তাভাবনা করা হবে।’