সুবীর মহন্ত, বালুরঘাট: বন্ধু নেশামুক্তি কেন্দ্রে। ওই সুযোগে তাঁর স্ত্রীকে কটূক্তি করত আরেক বন্ধু। অভিযোগ, শনিবার ফের ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। এমনকি ওই তরুণকে বাধা দেওয়া হলে মহিলাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়। তাঁর স্বামীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। অপরদিকে যাকে গোটা ঘটনায় নিশানা করা হয়েছে সেই তরুণের মায়ের পালটা অভিযোগ, মারধরের ঘটনা চলাকালীন তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয়। শনিবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাট শহর লাগোয়া এক গ্রামে।
দুই বন্ধুর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। দুজনেই বিবাহিত। বছরখানেক ধরে এক বন্ধু চরম নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়লে, তাঁকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। এদিকে বন্ধুর খোঁজখবর নেওয়ার জন্য তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ শুরু হয় অভিযুক্তের। অভিযোগ, একটা সময়ের পর থেকে ক্রমাগত বন্ধুর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিতেন তিনি। এরমধ্যে নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে আসেন স্বামী। এরপরেই স্ত্রীর কাছে সবটা জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে বালুরঘাট থানায় দ্বারস্থ হন ওই গৃহবধূ। তাঁর বক্তব্য, ‘ক্রমাগত আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। বাধা দেওয়ায় আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টাও করা হয়েছে। স্বামীকেও মেরে জখম করেছে। আমার স্বামী আপাতত বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
এদিকে, অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত তরুণের মা মামণি মহন্ত। তাঁর বক্তব্য, ‘মিথ্যা সন্দেহ করে আমার ছেলেকে কিছুদিন ধরে মারধর করে চলেছে ওর বন্ধু। এর আগেও ওরা আমাদের বাড়ি এসে হামলা চালিয়েছিল। তখন আমরা থানায় অভিযোগ করেছিলাম। গতকাল ফের বাড়িতে এসে আমার ছেলেকে মারধর করে। আটকাতে গেলে আমার শ্লীলতাহানি করা হয়। আমরা ভয়ে এদিন বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ হয়েছি।’ ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ বলেন, ‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।’