এম আনওয়ারউল হক, বৈষ্ণবনগর: রিল ও রিয়ালের ফারাক বুঝতে না পারায় অপরাধে জড়াচ্ছে নাবালকরা। তাদের কাজে লাগিয়ে কালিয়াচকের তিনটি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় দিনদিন বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। সেও বয়ঃসন্ধিতে থাকা তরুণদের মধ্যে। নাবালকরাও অপরাধ জগতে পা রাখছে।
আগে দেখা যেত, শুধুমাত্র মধ্যবয়সি বা একটু বেশি বয়সি তরুণরা অপরাধজগতে কাজ করছে। বর্তমানে সেই সমীকরণ বদলেছে। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, ব্রাউন সুগার পাচার করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হচ্ছে অল্পবয়সিরা। মাঝেমধ্যে জাল টাকা পাচারে জড়িয়ে গ্রেপ্তার হচ্ছে নাবালক বা সদ্য তরুণরা। যা নিয়ে এলাকায় যথেষ্ট উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৩ জানুয়ারি ২ লক্ষ টাকার জাল নোট সহ ২ তরুণকে গ্রেপ্তার করে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। ওই দুইজনের নাম রহিম শেখ (১৯) ও আবদুল রহিম (১৮)। তারা ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া পারদেওনাপুর শোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া গত বছরের অগাস্ট মাসেও বিএসএফের ১১৫ নম্বর ব্যাটালিয়ন ৩ জনকে ইন্দো-বাংলা সীমান্তের শোভাপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে ছিল দুই জন নাবালক ও একজন প্রতিবন্ধী। এছাড়াও মাদক পাচারের অভিযোগে বেশ কয়েকজন অল্পবয়সিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উঠতি বয়সিদের মধ্যে অল্প কাজ করে বেশি কিছু পাওয়ার প্রবণতা কাজ করে। যার কারণে জাল টাকার কারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সফট টার্গেট অল্পবয়সিরা। মূলত যাদের টাকাপয়সার সমস্যা রয়েছে অথবা দরিদ্র পরিবারের নাবালক ও তরুণদের অল্প সময়ে বেশি রোজগারের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলা হয়। আর সেই সমস্ত পরিবারের অল্পবয়সিরা বেশি রোজগারের আশায় এবং উন্নত জীবিকানির্বাহের আশায় পা বাড়িয়ে দেয় অসামাজিক কার্যকলাপে। কিন্তু অল্পবয়সিরা কেন অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে?
The put up Baishnav Nagar | সমাজবিরোধীদের নজরে নাবালক, তরুণেরা appeared first on Uttarbanga Sambad.