Bagrakote Loop Pool | ফাটল দেখা দিল বাগ্রাকোট লুপ পুলের দু’ধারের অ্যাপ্রোচ রোডে, কী অভিযোগ স্থানীয়দের?

Bagrakote Loop Pool | ফাটল দেখা দিল বাগ্রাকোট লুপ পুলের দু’ধারের অ্যাপ্রোচ রোডে, কী অভিযোগ স্থানীয়দের?

ভিডিও/VIDEO
Spread the love


ওদলাবাড়ি: ধস নেমেছে বাগ্রাকোট থেকে সিকিমগামী নির্মীয়মান ৭১৭-এ জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায়। ফাটল দেখা দিয়েছে এই মুহুর্তে উত্তরবঙ্গের অন্যতম সেরা আকর্ষন লুপ পুলের দু’ধারের অ্যাপ্রোচ রোডেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হতেই গেল গেল রব তুলেছেন নেটনাগরিকদের একাংশ। যদিও শনিবার সকাল থেকে এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এন এইচ-১০ আপাতত বন্ধ থাকার কারনে সিকিম থেকে নেমে আসা বেশ কিছু গাড়িকেও এই পথে চলাচল করতে দেখা গিয়েছে।

শনিবার সকালে লুপ পুল পেরিয়ে আরও কিছুটা এগিয়ে গিয়ে সাধারণ মানুষ,পুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট নির্মানকারী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে যে, পুলের মূল কাঠামোর চুইখিম প্রান্তে রাস্তার ফাটল একেবারে পুল ছুঁয়ে ফেলেছে। ফাটলের কিছুটা জায়গায় রাতারাতি কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে ঢেকে রাখার চিহ্নও দেখা গিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে নির্মানকারী সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার আমানউল্লাহ খান এদিন বলেন, ‘অসংখ্য পিলারের ওপর দাড়িয়ে থাকা লুপ পুলের মূল কাঠামো এখনও ঠিকঠাক আছে, কোনও ক্ষতি হয় নি। তবে গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টির জেরে দু-পাশের অ্যাপ্রোচ রোডের কিছুটা অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।অবিলম্বে সেই জায়গাগুলো পুনরায় মেরামত করা হবে।”

এ প্রসঙ্গে ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, ‘পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে এভাবে ধস নামা বা রাস্তায় ফাটল ধরা অস্বাভাবিক কিছু নয়।এমনটা যে হতে পারে তা আমাদের জানা ছিল।’  তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তার নীচের মাটি প্রাকৃতিকভাবে কমপ্যাক্ট হতে আরও দু-তিন বছর লাগবে। তারপর সড়কটি স্থিতিশীল হবে।’ বর্ষায় ততদিন মাঝে মাঝেই এই সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

যদিও এদিন সকালে লুপ পুলের বাগ্রাকোট প্রান্তে পুলের মূল কাঠামো থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরের  রাস্তার ধারে বড়ো মাপের ফাটল দেখিয়ে নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন রোহিত রাই,প্রতাপ খাতির মতো বাগ্রাকোটের সাধারন মানুষ। তাঁদের দাবি, ধস মোকাবিলায় পাহাড়ের ঢালে যে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা প্রয়োজন ছিলো,তা করা হয় নি। এছাড়াও বাগ্রাকোটের চাঁদমারি থেকে লাভা পর্যন্ত গোটা রাস্তাতেই এ ধরনের কাজ হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে নির্মানকারী সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার আমানউল্লাহ খান বলেন, ‘আগামী ৫ বছর এই রাস্তার শুরু থেকে প্রথম ১৩ কিলোমিটার অংশের রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব আমাদের। ধস বা ফাটল যাই হোক না কেন,দ্রুত মেরামত করা হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *