উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: নাবালিকার বিয়েতে (Baby Marriage) শামিল, সঙ্গে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া। এমনটা করলে এবার শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে আমন্ত্রিতদেরও। রেহাই পাবেন না পুরোহিত, ক্যাটারার বা অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কোনও পরিষেবা প্রদানকারীরা। এমনকি জেল জরিমানা (Penalty) হবে মা-বাবা, শ্বশুর-শাশুড়িরও।
বাল্যবিবাহ নিয়ে প্রশাসনের তরফে বারবার সচেতন করা হলেও এমন ঘটনা এখনও ঘটে চলেছে বহু জায়গায়। শহরাঞ্চলে তেমনটা চোখে না পড়লেও, গ্রাম বা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এখনও বাল্যবিবাহকে পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। প্রশাসন সূত্রের খবর, সব ক্ষেত্রে যে লুকিয়ে চুরিয়ে নাবালিকা বিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমনটাও নয়। বেশকিছু ক্ষেত্রে জাঁকজমক করে নাবালিকা বিয়ে দেওয়ার খবরও জানা গিয়েছে। এরপরই এনিয়ে কঠোর আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আইনে সেই বিধানও রয়েছে।
২০০৬ সালের বাল্যবিবাহ রোধ আইন অনুযায়ী (Baby Marriage Prevention Act) নাবালিকার বিয়েতে পরোক্ষে মদত দেওয়ার অভিযোগে জেল জরিমানা হতে পারে আমন্ত্রিতদেরও। জানা গিয়েছে, ওই আইন অনুযায়ী গাইডলাইন পাঠিয়ে জেলা প্রশাসনগুলিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের তরফে গত ১৫ মে এই মর্মে চিঠি ও নির্দেশিকার প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে। সেইমতো কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায় জেলায়। এনিয়ে সাধারণ মানুষ যাতে সচেতন হন, তা নিয়ে জেলায় জেলায় আইনের এই কঠোর ধারার বিশেষ হোর্ডিং, পোস্টারও লাগানো হচ্ছে। তাতে বাল্যবিবাহের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিকগুলিরও উল্লেখ করা হচ্ছে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে মেয়ের মা-বাবার পাশাপাশি আত্মীয়, পাড়া প্রতিবেশীরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। তাঁরাই চাইলে এই বিয়ে আটকে দিতে পারেন। কিন্তু তা না করে উলটে সে বিয়েতে শামিল হন তাঁরা। তাই এবার এবিষয়ে কেউ সাহায্য করলে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে তাঁকে। প্রশাসনের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছে ওয়াকিবহাল মহল।