উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শেখ হাসিনার (Seikh Hasina) আওয়ামি লিগকে (Awami League) নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। শুধু তাই নয় আওয়ামি লিগ যাতে কোনও ভাবে নির্বাচনে লড়াই না করতে পারে তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দলের রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করেছে। একধাপ এগিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়া জানিয়েছেন, আওয়ামি লিগের নেতৃত্বে সমাজমাধ্যমে কোনও পোস্ট করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি দেশজুড়ে আওয়ামি লিগের কেউ প্রতিবাদ কর্মসূচি পর্যন্ত পালন করতে পারবেন না।
ইউনূস সরকারের এহেন অবস্থানের পরই এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারত। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিসর সংকুচিত হচ্ছে। যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই আওয়ামি লিগের উপরে নিষেধাজ্ঞা উদ্বেগজনক। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আশাকরি বাংলাদেশে দ্রুত বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করা হবে। গণতন্ত্র ফিরবে।’
গত বছর অভ্যুথানের পর ৫ অগাস্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। হাসিনা দেশ ছাড়তেই আওয়ামি লিগের উপর নজিরবিহীন আক্রমণ নামিয়ে নিয়ে আনা হয়। যার পেছনে সরকারের প্রত্যক্ষ মদতের অভিযোগ ওঠে। হাসিনার বিরুদ্ধে শ’খানেক মামলা দায়ের করা হয়। বাতিল করা হয় তার পাসপোর্ট। তবে সব করলেও দেশে নির্বাচন করাতে পারেনি সরকার। বরং কবে নির্বাচন হবে তাও স্পষ্ট নয়। মুহম্মদ ইউনূসকে সামনে রেখে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ইসলামি মৌলবাদী শক্তি ক্রমশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে সদ্য গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)। তার সঙ্গে ছিল মূলত হিজবুত তাহরির, জামাতে ইসলামির মতো মৌলবাদী শক্তিগুলো। শেষ পর্যন্ত সেই শক্তির কাছে নতি স্বীকার করেই এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় ইউনূসের সরকার।