Atul Subhash Case | মায়ের কাছেই থাকবে অতুল সুভাষের শিশুপুত্র, জানাল শীর্ষ আদালত

Atul Subhash Case | মায়ের কাছেই থাকবে অতুল সুভাষের শিশুপুত্র, জানাল শীর্ষ আদালত

শিক্ষা
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় (Atul Subhash Case) ‘কাঠগড়ায়’ তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী। এই অবস্থায় কার কাছে থাকবে তাঁদের শিশুপুত্র, বিস্তর জলঘোলা হয়েছে তা নিয়েও। তবে সমাধান দিল সুপ্রিম কোর্ট। শেষমেশ শিশুপুত্রের হেপাজতের অধিকার গেল মায়ের হাতেই।

ছেলের মৃত্যুর পর নাতিকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে চলতি মাসের গোড়ায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অতুলের মা অঞ্জু মোদি। সেই মামলাতেই সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দেন অতুলের বিচ্ছিন্ন স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া। ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল অতুল-পুত্রকেও। অন্যদিকে আবেদনকারীরা বিস্তারিত হলফনামা দাখিল করার জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় চান। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি নাগরত্ন জানিয়ে দেন, আপাতত ছেলে থাকবে মায়ের কাছেই।

অতুলের সন্তান এখন কোথায় রয়েছে? বেঙ্গালুরুর তরুণের আত্মহত্যার পর থেকেই তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। পৌত্রকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অতুলের মা। সেই আবেদন শুরুতেই খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিংয়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সন্তানের মা এখনও জীবিত রয়েছেন। অন্যদিকে অতুলের সন্তানের কাছে তার ঠাকুমা প্রায় অচেনা একজন মানুষ। ৭ জানুয়ারি ওই মামলার শুনানিতে অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়ার আইনজীবী জানান, অতুল এবং নিকিতার সন্তান আপাতত হরিয়ানার ফরিদাবাদে রয়েছে। সেখানে একটি আবাসিক স্কুলে পড়াশোনা করছে সে। সন্তানকে যাতে নিকিতার সঙ্গে থাকতে দেওয়া হয়, সেই আবেদনও করেন নিকিতার আইনজীবী। জানানো হয়, ফরিদাবাদের হস্টেল থেকে ছেলেকে এনে নিজের কাছে রাখতে চান নিকিতা। তবে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানায়, তার আগে অতুল-নিকিতার ছেলেকে আদালতে নিয়ে আসতে হবে। সেই মতো সোমবার শুনানিতে মা-শিশুপুত্রকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আদালতে হাজির করানো হয়। শিশুটির পরিচয় গোপন রাখার স্বার্থে সেই সময় আদালতের ভিডিও লিংক বন্ধ রাখা হয়েছিল।

অতুলের মৃত্যুর পর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সপ্তাহদুয়েক আগে কর্ণাটক হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন তাঁরা। তবে তদন্ত এখনও চলছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *