আসানসোল: একদিকে বাড়ি লিখে দেওয়ার জন্য ভাড়াটিয়ার চাপ, অন্যদিকে প্রচুর টাকার দেনা। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার চেষ্টা মা ও ছেলের। ঘটনাস্থলেই মৃত মা। মৃত্যু হয়েছে পোষ্যের। এদিকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ছেলেও। ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য আসানসোলের (Asansol) সুমথ পল্লী এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। সাড়া না মেলায় খবর দেওয়া হয় পুলিশে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, বিষ খাইয়ে মাকে ও কুকুরদের মেরে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ছেলে। যদিও তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে (Asansol Hospital)। বর্তমানে তিনি আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দীর্ঘদিন ধরেই ঋণের চাপে ভুগছিলেন যূথিকা দাস (৬৮) এবং তাঁর ছেলে অরিন্দম দাস (৪০)। বাড়ি বন্ধক দেওয়া ছিল এক বেসরকারি সংস্থার কাছে। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদও গ্রাস করছিল অরিন্দমকে। আত্মহত্যার আগেই বন্ধুদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠিয়েছিলেন তিনি। তাতেই কিছু নাম, যাঁরা নাকি তাঁকে মানসিকভাবে চাপে রেখেছিলেন। পুলিশ (Police) সেই মেসেজকেই ‘সুইসাইড নোট’ হিসেবে দেখছে। সেই সূত্র ধরে জানা গেছে, তাঁদের বাড়ির ভাড়াটিয়া ক্রমেই তাঁদের চাপ দিচ্ছিলেন বাড়ি লিখে দেওয়ার জন্য। তাকে জেরা করে, তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সত্যতা জানার চেষ্টা করছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ।
এদিন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে এই প্রসঙ্গে ডিসিপি ( সেন্ট্রাল) বলেন, ‘সোমবার রাতে এই বাড়ির একটা ঘর থেকে পুলিশ মা ও ছেলেকে অচৈতন্য অবস্থায় পায়। আপাতত একটি আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। বাড়ির এক ভাড়াটিয়া মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে তদন্তের। তাই ফরেনসিক দলকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পারিবারিক ও আর্থিক দেনার সমস্যার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। সবকিছুই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’