আসানসোল: একটি বাড়ির নির্মীয়মান আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভারে নেমে বাঁশ খুলতে গিয়ে মৃত্যু হল দুজনের। সোমবার সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল পুরনিগমের ৮৩ নং ওয়ার্ডের বাউরি পাড়ায়। এখনও পর্যন্ত মৃতদের নাম জানা যায়নি। তাঁদের বয়স আনুমানিক ৪০ ও ৪২ বছর। সূত্রের খবর, তাঁরা এক রাজমিস্ত্রির অধীনে নির্মাণ কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
জানা গিয়েছে, এদিন আসানসোল শহরের বাউড়ি পাড়ার কাছে একটি বাড়িতে সিঁড়ির নীচে রিজার্ভার তৈরির কাজ চলছিল। সকালে কাজের দায়িত্বে থাকা রাজমিস্ত্রি এক নির্মাণ কর্মীকে রিজার্ভারের ভেতর বাঁশ খুলতে নামালে তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে উদ্ধার করতে আরও একজনকে নামানো হলে তিনিও অচৈতন্য হয়ে পড়েন।
ঘটনার পরেই বাড়ির মালিক প্রকাশ বার্নওয়াল ও রাজমিস্ত্রী স্থানীয় লোকজনদেরকে খবর দেন। সবাই মিলে তাঁদের ট্যাঙ্ক থেকে বের করার চেষ্টা করেও বিফল হন। এরপর কংগ্রেস নেতা শাহ আলম খান এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলার মহ: হাসরাতুল্লা খানকে খবর দেওয়া হলে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান হিরাপুর থানার পুলিশ ও আসানসোল দমকল বাহিনীর কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে দমকল কর্মীরা ওই আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভার থেকে দুই নির্মাণ কর্মীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন। এরপর দুজনকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই বিষয়ে শাহ আলম বলেন, ‘ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা হিরাপুর থানা এবং আসানসোল দমকল বিভাগকে জানাই। দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। অনেক চেষ্টার পর দুজনকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।’
বাড়ির মালিক প্রকাশ বার্ণওয়াল বলেন, ‘আমি এই বাড়িটি গত এপ্রিল মাসে কিনেছিলাম। আগে এই বাড়ির সামনে রিজার্ভার ছিল। কিন্তু বাস্তু দোষের কারণে আমি সেটিকে সেপটিক ট্যাঙ্ক বানিয়ে ফেলি। এরপর বাড়ির সিঁড়ির নীচে নতুন করে আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভার তৈরির কাজ চলছিল। আমার মনে হচ্ছে রিজার্ভারের ভিতরে গ্যাসের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।’ মৃত দুই ব্যক্তি আসানসোলের ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘুটঘুটি পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলার হাসরাতুল্লা খান।