উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সমাজমাধ্যমে লাইভ-স্ট্রিম করে তিন তরুণীর উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে হত্যার ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে আর্জেন্টিনা। ন্যায়বিচারের দাবিতে গত শনিবার আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসের রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। নারীবাদী সংগঠনের ডাকে আয়োজিত এই প্রতিবাদ মিছিল পার্লামেন্ট পর্যন্ত যায়।
ঘটনায় নিহত, ২০ বছর বয়সী দুই খুড়তুতো বোন মোরেণা ভার্দি (Morena Verdi) ও ব্রেন্ডা দেল কাস্তিয়ো (Brenda del Castillo) এবং ১৫ বছর বয়সী লারা গুতিয়ারেজ (Lara Gutierrez) – এর পরিবার তাঁদের নামাঙ্কিত ব্যানার নিয়ে মিছিলে অংশ নেন। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল তাঁদের ছবিসহ প্ল্যাকার্ড। ‘এ ছিল এক নার্কো-ফেমিনিসাইড’ এবং ‘আমাদের জীবন খেলনা নয়’ লেখা প্ল্যাকার্ড ও ড্রামের শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে এই প্রতিবাদ মিছিল।
উল্লেখ্য, পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর বুধবার বুয়েনোস আইরেসের দক্ষিণ শহরতলির একটি বাড়ির উঠোনে মোরেনা, ব্রেন্ডা ও লারার দেহাবশেষ মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, এই হত্যাকান্ডের নেপথ্যে একটি মাদক চক্র জড়িত রয়েছে। সূত্রের খবর, ইনস্টাগ্রামে একটি প্রাইভেট অ্যাকাউন্টে ৪৫ জন সদস্যের সামনে এই অপরাধ লাইভ-স্ট্রিম করা হয়েছিল। ঘটনা প্রসঙ্গে ব্রেন্ডার বাবা লিওনেল দেল কাস্তিয়ো বলেন, “এখন যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি মহিলাদের সুরক্ষা প্রয়োজন।”
ঘটনার তদন্তে জানা গেছে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর একটি পার্টির কথা বলে প্রতারণা করে তরুণীদের একটি ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। মাদক চক্রের নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য তাঁদের ‘শাস্তি’ দেওয়া এবং অন্যদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ধৃতদের মধ্যে একজন পুলিশকে ভিডিওটির কথা জানায়। ভিডিও ফুটেজে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ) একজনকে বলতে শোনা যায়, “যারা আমার মাদক চুরি করে তাদের এই পরিণতি হয়।”
এই ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। এই ষড়যন্ত্রের মূল মাথা, এক ২০ বছর বয়সী যুবক বর্তমানে পলাতক রয়েছে। ইতমধ্যেই তার ছবি প্রকাশ্যে এনেছে কর্তৃপক্ষ।