উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ধর্ষণের মতো ঘটনা রুখতে কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি দিতে রাজ্য বিধানসভায় নয়া বিল এনেছিল বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। সেই ‘অপরাজিতা বিল’ ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এই ‘অপরাজিতা বিল’ অনুযায়ী, শিশু-নারীদের ধর্ষণ, ধর্ষণের পর খুন, এসব গুরুতর ঘটনায় দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। গত বছর বিধানসভায় ওই বিল পাশ হওয়ার পর তা পাঠানো হয় রাজভবনে। তারপর সেটি ছিল রাষ্ট্রপতির কাছে। সেই বিল আবার ফিরে গেল রাজ্য সরকারের কাছে। রাজভবনের তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই বিল সংবিধানের নির্দিষ্ট কিছু বিধির পরিপন্থী। এমনকী শীর্ষ আদালতের রায়েরও পরিপন্থী বলে দাবি করা হয়েছে।
গত বছর আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয় গোটা দেশ। প্রতিবাদে শামিল হয় সাধারণ মানুষ। এরপর বিধানসভায় ‘অপরাজিতা বিল’ আনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। বিধানসভায় সেই বিল পাশ হয়। বর্তমানে যে আইন আছে তার থেকেও কড়া শাস্তির কথা বলা হয় ওই বিলে। তাতেই কেন্দ্রের আপত্তি রয়েছে বলে সূত্রের খবর। ‘অপরাজিতা বিলে’ ধর্ষণের মতো অপরাধে দোষীর সর্বোচ্চ ফাঁসির সাজা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিল পাশের পর অনুমোদনের জন্য রাজভবনে পাঠানো হয়। রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলেই তা আইনে পরিণত হয়ে কার্যকর করা যেত। কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে তা হয়নি। রাজ্যপাল সেই বিলটি পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির কাছে। সেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বিল। এরপরেই কঠোরতম সাজা কার্যকরের পথ বন্ধ করে বিলটি ফেরত পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।
বিল ফেরত পাঠানোর পরই সরব হয়েছে তৃণমূল। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার সরকার যতটা নারী সুরক্ষায় সচেষ্টা, বিজেপি ঠিক তার উলটো। বিজেপি দোষীদের কঠোরতম চায় না। এবার বিজেপির মুখোশ খুলে যাচ্ছে।”