উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার সিউড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে কালি লাগিয়ে বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে। এর পেছনে উঠে এসেছে বিজেপির নাম। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বীরভূমের পুলিশ সুপারকে তোপ দেখেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondol)। তিনি বলেন, ‘বীরভূম জেলায় এই ধরনের সংস্কৃতি আগে ছিল না। আমি মনে করি, এই পুলিশ সুপার আসার পর থেকেই এমন সংস্কৃতি শুরু হয়েছে।’
পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কালি লাগানোর ঘটনার পর তৃণমূলের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা- কর্মীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিজেপির মোট ২৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। অর্থাৎ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা যথেষ্ট সক্রিয় ছিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু তারপরেও অনুব্রত মণ্ডল পুলিশকে আক্রমণ করায় প্রশ্ন উঠেছে। তার মন্তব্য, ‘’আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে কালি লাগাচ্ছে। সেখান থেকে এসপি অফিস হচ্ছে কুড়ি হাত দূরে। উনি কি ঘুমোচ্ছিলেন?’ অনুব্রত আরও বলেন, ‘’আমরা আগে বিরোধী দলে ছিলাম। আমরা কোনও দিন জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বা কারও ছবিতে কালি লাগাইনি। আমরা বিজেপির কোনও ছবিতে কালি লাগাই না। এটা ভদ্রতা নয়। এই ধরনের পুলিশ সুপার থাকলে এই ধরনের নোংরামিই হবে!’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসেই বোলপুর থানার আইসিকে ফোন করে কদর্য ভাষায় মা ও স্ত্রীর নাম করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। যার জেরে দলের নির্দেশে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হলেও বড় কোন পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। শুধু একবার তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এমনকি তার ফোন পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। এই ঘটনার পর সম্প্রতি বীরভূম সফরে এসে অনুব্রত মণ্ডলকে ফের স্বমহিমায় ফিরিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাকে একদিকে যেমন দলের কোর কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে, অন্যদিকে তার নিরাপত্তা যা কিছুটা প্রত্যাহার করা হয়েছিল ফের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এরপরই ফের তেড়ে-ফুঁড়ে মাঠে নেমেছেন অনুব্রত মণ্ডল।