কালিয়াগঞ্জ: এক কৃষকের তৎপরতায় বড়সড়ো অগ্নিকাণ্ডের (Hearth) হাত থেকে রক্ষা পেল ভারতীয় রেল। মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুর রেলগেট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় রাধিকাপুর থেকে দিল্লিগামী আনন্দ বিহার (ডাউন ১৪০১১) এক্সপ্রেসের (Anand Vihar Specific) ইঞ্জিনের পেছনের বগিতে আগুন লাগে। যদিও বিষয়টি ওই কৃষকের নজরে আসায় তিনি হাত নেড়ে সময়মতো ট্রেনটিকে থামাতে সক্ষম হন। ফলে অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা হয় ওই ট্রেনে থাকা যাত্রীদের।
জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ কৃষিজমিতে কাজ সেরে রেলগেট সংলগ্ন একটি কদম গাছের নীচে বসে বিশ্রাম করছিলেন কৃষক রহিমুদ্দিন আহমেদ। সে সময় রাধিকাপুর রেলস্টেশন থেকে দিল্লিগামী আনন্দ বিহার ট্রেনটি দ্রুত গতিতে আসছিল। হুইসেলের আওয়াজে ট্রেনের দিকে চোখ যেতেই ইঞ্জিনের ঠিক পেছনের বগির নীচে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন রহিমুদ্দিন৷ সেই সময় ট্রেন আর রেলগেটের মধ্যে দূরত্ব ছিল প্রায় ২৫০ মিটার। কিন্তু বিপদ বুঝে তাৎক্ষণিক বুদ্ধিতে নিজের জীবন বাজি রেখেই রেললাইনে দাঁড়িয়ে দ্রুত গতিতে থাকা টেনটি থামানোর চেষ্টায় দু’হাত প্রাণপণে নাড়তে থাকেন রহিমুদ্দিন। এরপর ট্রেনের চালক বিপদ বুঝে ট্রেনটি রেলগেট এলাকায় থামিয়ে দেন৷
এরপরই তড়িঘড়ি ট্রেনে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে ইঞ্জিনের পেছনে থাকা জেনারেটর বগির নীচে ব্রেক বাইন্ডিংয়ে লাগা আগুন নেভান ট্রেনচালক৷ সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন রেল ঘুমটিতে কর্মরত রেলকর্মীরাও। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে৷ এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ট্রেনে থাকা যাত্রীরা৷ যদিও প্রায় ১৫ মিনিট পর ট্রেনটি আবার লক্ষ্মীপুর রেলগেট এলাকা থেকে দিল্লির অভিমুখে রওনা হয়৷
এদিন ট্রেনটি ফের রওনা হতেই মুখে হাসি ফোটে রহিমুদ্দিনের। তিনি বলেন, ‘একটি জীবনের বদলে হাজার মানুষের যদি প্রাণ বাঁচে, আমার তাতেই আনন্দ। তাই চলন্ত ট্রেনে আগুন দেখে জীবন বাজি রেখে চালককে হাত নেড়ে ইশারা করে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেছিলাম৷’