উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ নেতা মানুষের নাকি কখনও অবসর হয় না! কথাটা শুনতে ভালো লাগলেও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা জানিয়ে দিয়েছেন, আমরণ রাজনীতিতে থাকার ইচ্ছা তাঁর নেই। একদিন না একদিন তিনি ঠিকই সরে যাবেন রাজনীতি থেকে। তখন কীভাবে কাটবে তাঁর অবসর? শা জানিয়েছেন, অবসর জীবনে তাঁর সঙ্গী হবে বেদ, উপনিষদ আর জৈব চাষ!
৬০ বছর বয়সি শা রাজনীতির মাঠে এখনও অক্লান্ত সৈনিক। ভুল বলা হল, আসলে সেনাপতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতোই। কিন্তু গুজরাটের এক সভায় তিনি হঠাৎই ঘোষণার ভঙ্গিতে জানিয়েছেন, ‘আমি ঠিক করেছি অবসরের পরে জীবনটা বেদ, উপনিষদ আর প্রাকৃতিক চাষেই কাটাব।’
শুধু ধর্মশাস্ত্র নয়, নিজের খেতে ক্ষতিকর রাসায়নিক ছাড়া চাষের মজাও শুনিয়েছেন শা। তাঁর কথায়, ‘কেমিক্যাল দিয়ে গম চাষ করলে ক্যানসার, ব্লাড প্রেসার, ডায়াবিটিস, থাইরয়েড কী না হয়! ওসবের খপ্পরে পড়ার কী দরকার! দরকার কী যেচে মৃত্যুকে ডেকে আনার! তার চেয়ে একেবারে দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক চাষই ভালো। জৈব চাষে কোনও ক্ষতি হয় না। আর এটা সবাই মিলে করতে পারলে ওষুধের দোকান উঠে যাবে!’
এখানেই না থেমে শা জানিয়েছেন, নিজের খামারে হাত পাকাতে তিনি ইতিমধ্যে প্রাকৃতিক চাষ শুরু করে দিয়েছেন। তাতে ফলন নাকি আগের চেয়ে দেড় গুণ বেড়ে গিয়েছে! শা বলছেন, ‘জমিতে ভারী বৃষ্টি হলে জলের ধারা বেরিয়ে যায়। কিন্তু অর্গ্যানিক চাষে একফোঁটাও জল বেরোয় না—সব মাটি শুষে নেয়!’
একই সঙ্গে শা কথা বলেছেন কেঁচো জাতীয় প্রাণীর উপকারিতা নিয়েও। মানুষের ভালোভাবে বেঁচেবর্তে থাকার ক্ষেত্রে কেঁচোর ভূমিকা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘সিন্থেটিক ফার্টিলাইজারে মাটির কেঁচো মরে যায়। অথচ কেঁচোই তো প্রকৃতির নিজস্ব ইউরিয়া-ফ্যাক্টরি! দেখা দরকার, সেই কারখানায় যেন লকআউট না হয়।’
সব মিলিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার পর শা’র বানপ্রস্থ জীবনের সকালটা কাটবে খেতখামারে হাল চাষ করে। আর সন্ধ্যায় প্রদীপের আলোয় তিনি পড়বেন বেদ-উপনিষদ।