বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: ভূমিধসে বিধ্বস্ত উত্তর সিকিম এলাকা। তবে তার মধ্যেই আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হল গ্যাংটকে। সিকিম পুলিশ, সামরিক বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের টিম যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁদের উদ্ধার করেছে। পর্যটকরা সুস্থ আছেন বলে খবর। এদিকে নতুন করে আবহাওয়া খারাপ হয়েছে পূর্ব সিকিমে। আজ রবিবার বিকাল থেকে পূর্ব সিকিমের না-থুলা উপত্যকায় প্রবল শিলাবৃষ্টি শুরু হয়েছে। গোটা তলিয়ে শ্বেতশুভ্র হয়েছে। কমেছে দৃশ্যমানতা।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভয়াবহ বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমের লাচেন ও লাচুংয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ধসে ওই দুই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রায় হাজারের উপর পর্যটক আটকে পড়েন। শনিবার আবহাওয়ার উন্নতি হলে পর্যটকদের উদ্ধারকাজে গতি আসে। সিকিম পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের সদস্যরা কোলে, কাঁধে করে পর্যটকদের নামিয়ে আনতে থাকেন। এদিকে ধস সরিয়ে রাস্তা চলাচলযোগ্য করার কাজও চলতে থাকে। রবিবারও সকাল থেকে পর্যটকদের উদ্ধারের কাজে আরও গতি আনা হয়। দুপুরের পর সব পর্যটককে গ্যাংটকে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে খবর।

সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেনারেল রিজার্ভ ইঞ্জিনিয়ার ফোর্স ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের প্রজেক্ট কর্মীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে ধস সরানোর কাজে নামে। শনিবার সন্ধ্যার পর তুলনায় হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য লাচুং যাওয়ার রাস্তাটি খুলে দেওয়া হয়। চুংথাংয়ের ড্রাইভার অ্যাসোসিয়েশনের ট্যাক্সি ড্রাইভাররা রবিবার সকাল থেকে পর্যটকদের নিরাপদে গ্যাংটকে পৌঁছে দেওয়ার কাজে নামেন। চুংথাং, লিমা ও মালুয়েপোতিমসারে আটকে থাকা দু’শো গাড়ি বোঝাই পর্যটককে মঙ্গন হয়ে গ্যাংটকে নামিয়ে আনা হয়। চুংথাং ও লাচুংয়ের মধ্যে আটকেছিলেন প্রায় ৫৭ জন পর্যটক। স্থানীয়দের বাড়িতেই তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁদেরও সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। মঙ্গনের পুলিশ সুপার সোনম দেচু ভুটিয়া জানান, আটকে পড়া পর্যটকরা প্রত্যেকে গ্যাংটকে ফিরেছেন।
এদিকে রবিবার বিকেল থেকে পূর্ব সিকিমের না-থুলা উপত্যকায় প্রবল শিলাবৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাস্তা-সহ গোটা এলাকা শিলাবৃষ্টির কারণে সাদা হয়ে যায়। কমে যায় দৃশ্যমানতা। ওই এলাকায় পরিস্থিতি খারাপ হলে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেজন্য আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন