Alipurduar | হকিতে বাজিমাত পলাশবাড়ির পড়ুয়াদের, রাজ্য চ্যাম্পিয়নের পর জাতীয় স্তরের লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু

Alipurduar | হকিতে বাজিমাত পলাশবাড়ির পড়ুয়াদের, রাজ্য চ্যাম্পিয়নের পর জাতীয় স্তরের লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু

শিক্ষা
Spread the love


সুভাষ বর্মন, পলাশবাড়ি: বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নেতাজি সুভাষ স্টেট গেমসের অনূর্ধ্ব-১৭ হকিতে এবারই প্রথম অংশ নিয়েছিল আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার ছেলে ও মেয়েদের দল। নামে জেলা দল হলেও সেখানকার প্রতিনিধিরা সকলেই ছিলেন পলাশবাড়ির পড়ুয়া। আর প্রথমবার সেখানে খেলতে গিয়েই ছেলেদের দল রাজ্য চ্যাম্পিয়ন এবং মেয়েদের দল রানার্স হয়েছে। শিরোপা অর্জনের পর বুধবারই দুই দল মালদা থেকে পলাশবাড়ি পৌঁছায়। এত বড় প্রতিযোগিতায় প্রথমবারই অংশগ্রহণ করে সাফল্য লাভ করায় খেলোয়াড়রা সকলেই ভীষণ খুশি। সেইসঙ্গে সবাই এখন জাতীয় স্তরে খেলার জন্য জোরদার প্রস্তুতিতে নামবে বলেও জানিয়েছে।

তিন-চার বছর ধরেই আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের পলাশবাড়িতে জোরকদমে হকির (Hockey) অনুশীলন চলছে। সেখানে উঠতি খেলোয়াড়দের নিখরচায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন কোচ সরোজকুমার বসু। এর আগে রাজ্য ও জাতীয় স্তরে  আয়োজিত হকি খেলায় অংশগ্রহণ করেছিল পলাশবাড়ির পড়ুয়ারা। তবে বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত খেলায় এবারই তারা প্রথম অংশ নিয়েছিল।

গত ৭ এপ্রিল মালদায় শুরু হয় হকি খেলা। আর প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই একের পর এক অন্য জেলাগুলোকে হারিয়ে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নেয় ছেলেদের দল। বিজয়ী দলের সদস্য দশম শ্রেণির বাস্তব মণ্ডলের কথায়, ‘এত বড় প্রতিযোগিতায় প্রথমবার অংশ নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাব ভাবতে পারিনি। এদিন বাড়ি ফিরলাম, পরিবারের সকলে খুব খুশি।’ তবে এই সাফল্য যে প্রত্যাশার চাপ কিছুটা বাড়িয়েও দিল সেকথাও মানছেন সকলে। দলের আরেক খেলোয়াড় নবম শ্রেণির পবন বর্মন বলেন, ‘এরপর জাতীয় স্তরের খেলা। তাই বৃহস্পতিবার থেকেই ফের জোরদার প্রস্তুতি শুরু হবে৷ জাতীয় স্তরে আরও ভালো খেলার চেষ্টা করব।’

তবে এসবের মধ্যে কিছুটা হতাশ পলাশবাড়ির মেয়েরা৷ অনেক চেষ্টা করেও তাদের রানার্স হতে হয়েছে। এতে যদিও মনোবলে এতটুকু চিড় ধরেনি তাদের। তারা বরং এখন থেকেই পরবর্তী প্রতিযোগিতাগুলোয় আরও ভালো করে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। মেয়েদের দলের সদস্য বর্ষা সরকারের কথায়, ‘প্রতিযোগিতায় ভালোভাবে খেলার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। যদিও ফাইনালে আমরা জিততে পারিনি। তবে রানার্স তো হয়েছি। আগামীতে আরও ভালোভাবে খেলার চেষ্টা করব।’ যদিও ছেলেদের দলের সাফল্যে তাঁরা সবাই খুশি বলে জানিয়েছেন দহিতা বর্মন, দীপশিখা বর্মনরা। দুই টিমের সঙ্গে ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা হকি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জীবন সরকার। তাঁর কথায়, ‘জাতীয় স্তরের খেলা কবে হবে তা এখনও জানানো হয়নি। তবে আমাদের ছেলেদের টিম যেহেতু রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাই জাতীয় স্তরের জন্য এখন জোরদার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *