রাঙ্গালিবাজনা: নিখোঁজ স্বামীকে খুঁজতে সুদূর কেরল থেকে মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের উত্তর রাঙ্গালিবাজনায় চলে এলেন স্ত্রী। পাঁচ মাস আগে কেরলের এর্ণাকুলম জেলার বাড়ি থেকে হঠাৎ জমিলা এমে নামে ওই মহিলার স্বামী সঞ্জয় রায় নিখোঁজ হয়ে যান। স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও সে রাজ্যের পুলিশ সঞ্জয়ের খোঁজ পায়নি। অগত্যা বৃহস্পতিবার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে রাঙ্গালিবাজনায় নিজের শ্বশুরবাড়িতে চলে এলেন জমিলা।
দীর্ঘ ১৬ বছর আগে কেরলের এর্ণাকুলম জেলার বাসিন্দা জমিলা এমেকে বিয়ে করেন পরিযায়ী শ্রমিক সঞ্জয় রায়। এরপর থেকে তিনি সস্ত্রীক সেখানেই থাকতেন। সঞ্জয় রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। ফিদা এম্মাম নামে সঞ্জয় ও জমিলার একটি মেয়ে রয়েছে। সে দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাবার নিখোঁজের বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করেছে ফিদা। সে জানিয়েছে, তার বাবা ও মায়ের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। তবে বাবা তাকে খুব স্নেহ করতেন। সঞ্জয় স্ত্রী জমিলার গায়ে হাত তুলতেন বলেও মেয়ের বক্তব্য।
সঞ্জয়রা তিন ভাই। সে ছাড়া বাকি দুই ভাই পরিবার নিয়ে রাঙ্গালিবাজনায় থাকেন। দুই ভ্রাতৃবধূর কথায়, সঞ্জয় বেশ কয়েক মাস আগে একবার রাঙ্গালিবাজনার বাড়িতে এসেছিলেন। সম্প্রতি আর আসেননি। দীর্ঘদিন ধরে সঞ্জয়ের সঙ্গে ফোনেও তাঁদের যোগাযোগ নেই। পরিবার এখনও এনিয়ে মাদারিহাট থানায় কোনও অভিযোগ জানায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে খোঁজখবর শুরু করেছে পুলিশ। জমিলা বলেন, ‘এর আগে বেশ কয়েকবার শ্বশুরবাড়ি এসেছি। ভেবেছিলাম সঞ্জয় এখানে এসেছে। তাই খোঁজ করতে এসেছিলাম।’
যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতিবেশীর দাবি, বিগত পাঁচ মাস ধরে সঞ্জয় রাঙ্গালিবাজনার একটি বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন। তাঁরাই জানান, এর আগে এলাকায় আলাদা বাড়ি তৈরি করে স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে বাস করতেন সঞ্জয়। এক বছর পর তাঁরা কেরলে ফিরে যান। সঞ্জয় প্রকৃতই নিখোঁজ হয়েছেন নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।