অভিজিৎ ঘোষ, আলিপুরদুয়ার: মোদির (PM Narendra Modi) জনসভায় লোক নিয়ে আসার জন্য কোথায় কত গাড়ি পাঠানো হবে সেটা দেখার জন্য আলাদা কমিটি করা হয়েছে। তেমনই আবার জনসভাকে কেন্দ্র করে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাপনা দেখার জন্য কমিটি। রয়েছে অর্থ, প্রচার, ব্যানার, জল, প্রশাসন ইত্যাদি সংক্রান্ত কমিটিও। এরকম প্রায় ১৫টি কমিটি বানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা বলে কথা। আর সেই সভা সফল করতে আদাজল খেয়ে যে বিজেপি নামবে না, তা কি কখনও হয়? বর্তমানে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভা নিয়ে তাই চূড়ান্ত ব্যস্ততা বিজেপির নেতাদের মধ্যে। মঙ্গলবার থেকে বিজেপির নেতারা পড়ে থাকছেন প্যারেড গ্রাউন্ডেই।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর অফিস (পিএমও) থেকে পাঁচজন কর্মী এসে প্যারেড গ্রাউন্ড পরিদর্শন করেন। কোন এলাকায় মঞ্চ হবে, কোন এলাকায় হেলিপ্যাড হবে সেইসব তাঁরা খতিয়ে দেখেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির নেতা ও জনপ্রতিনিধিরাও। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করার পর আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘জনসভার সঙ্গে একটি প্রশাসনিক সভাও হবে প্যারেড গ্রাউন্ডে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কর্মীরা সবটাই নিজেদের মতো করে দেখে গেলেন। তাঁদের যেগুলো করণীয় তাঁরা সেটা করবেন।’
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সভা সফল করার জন্য বিজেপির (BJP) নেতাদের আলাদা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দু’দিন ধরে জেলা বিজেপির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে চলেছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার শহরের একটি হোটেলে বিজেপির জেলা কমিটির নেতা এবং সব মণ্ডল সভাপতিকে নিয়ে বৈঠক করেন অমিতাভ। সেখানে ওই বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘পুরোটাই সাংগঠনিক বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।’ অমিতাভ ছাড়াও এদিন ওই বৈঠকে ছিলেন মনোজ টিগ্গা, আরেক রাজ্য সম্পাদক দীপক বর্মন, জেলা বিজেপির সভাপতি মিঠু দাস, প্রাক্তন সভাপতি ভূষণ মোদক, বিধায়ক বিশাল লামা প্রমুখ। দীপককে প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এদিনের বিজেপির ওই সভায় মণ্ডল সভাপতিদের জানানো হয়, ২৯ মে’র জনসভা নিয়ে সব এলাকায় জোরদার প্রচার করতে হবে। যত বেশি সম্ভব লোকের সমাগম করার প্রস্তুতি রয়েছে বিজেপির। টার্গেট ৭৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ লোকসমাগম। আলিপুরদুয়ার জেলা ছাড়াও কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলা থেকেও বিজেপির সমর্থকদের ওই সভায় নিয়ে আসা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোন এলাকায় কত গাড়ি পাঠানো হবে সেটারও তালিকা তৈরি করা শুরু হয়েছে।
যে ১৫টি কমিটি বানানো হয়েছে, সেগুলির প্রত্যেকটিতে ৪-৭ জন করে নেতাকে রাখা হয়েছে। শুক্রবার থেকে জেলাজুড়ে জোরদার প্রচার করতে বলা হয়েছে।