আলিপুরদুয়ার: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ফল প্রকাশের তিন সপ্তাহ পরেও কলেজগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। রাজ্য সরকারের বিশেষ পোর্টালের মাধ্যমে কলেজগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কবে থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে পড়ুয়াদের একাংশ ভিনরাজ্যের কলেজের দিকে ঝুঁকছেন। ভিনরাজ্যে ভর্তি হওয়ার জন্য অনেক পড়ুয়াই বিভিন্ন কলেজে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিচ্ছেন।
প্রবীর সরকার নামে এক পড়ুয়ার কথায়, ‘উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রায় এক মাস হতে চলল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভর্তি প্রক্রিয়া কেন চালু হচ্ছে না তা ভেবে পাচ্ছি না। আমার সহপাঠীদের অনেকেই অসম সহ ভিনরাজ্যের কলেজে ভর্তির জন্য ছোটাছুটি করছে। বিশেষ করে আগে আবেদন না করলে পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।’ আলিপুরদুয়ারের অর্পিতা সাহা নামে আরেক পড়ুয়া অবশ্য অসমের বিভিন্ন কলেজে ভর্তির বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন। তাঁর কথায়, ‘আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরবঙ্গের কলেজগুলিতে ভর্তির বিষয়ে কিছু জানা যাচ্ছে না। ফলে কাছাকাছি অসমের কোকড়াঝাড় সহ একাধিক কলেজে যোগাযোগ করেছি।’ আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডঃ জয়দীপ রায়ের বক্তব্য, ‘ভর্তির বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নিয়ম-নির্দেশিকা এখনও আসেনি। তাই কবে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে তা স্পষ্ট নয়।’
গতবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ফল প্রকাশের প্রায় এক মাস পরে ভর্তির পোর্টাল খুলেছিল। ফলে বেশ কিছু কলেজে পড়ুয়াদের ভর্তির সংখ্যাও কমে যায়। প্রথম সিমেস্টারে পঠনপাঠনে বেশি সময় পাওয়া যায়নি ফলে গতবছর বড় অংশের পরীক্ষার্থী প্রথম সিমেস্টারে উত্তীর্ণ হতে পারেননি। চলতি বছরে ভর্তি প্রক্রিয়ায় দেরি হলে, একই রকম সমস্যা হতে পারে বলে পড়ুয়ারা আশঙ্কা করছেন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দীর্ঘদিন পরেও কেন কলেজগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়নি? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবিষয়ে বিভিন্ন কলেজ কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।
আলিপুরদুয়ার মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল অমিতাভ রায়ের আশঙ্কা, ‘ভর্তি প্রক্রিয়া যত দেরি হবে কলেজগুলিতে ছাত্রসংখ্যা তত কমে যাবে।’ যান্ত্রিক গোলযোগজনিত কোনও কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকতে পারে বলে বিবেকানন্দ কলেজের প্রিন্সিপাল সৃজিত দাস মনে করছেন। পাপড়ি শর্মা নামে এক অভিভাবকের কথায়, ‘রাজ্যের বাইরের ভালো কলেজগুলিতে পড়ার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা চলছে। আমার মেয়ে অনুষ্কা শর্মা দেশের বড় কলেজগুলিতে ভর্তির চেষ্টা করছে।’