জটেশ্বর: উত্তরপ্রদেশ স্ত্রীকে নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার (Alipurduar) জটেশ্বরে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন জামাই। কিন্তু দিন সাতেক পার হতে না হতেই তিনি পড়লেন বিপাকে। কারণ জামাইকে বাজারে পাঠিয়ে প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ স্ত্রী ও শাশুড়ি। খোঁজখবর করার পরেও কোনও সন্ধান না মেলায় অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন উত্তরপ্রদেশের ওই জামাই।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চার মাস আগে জটেশ্বর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের হেদায়েত নগরের তরুণী মনিকা বর্মনের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের বদায়ু জেলার বাসিন্দা দুশান্ত কুমারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়িতে আসার জন্য দুশান্তকে চাপ দিচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী। এরপর গত ২২ এপ্রিল স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন দুশান্ত। বেশ কিছুদিন যেতেই শ্বশুরবাড়িতে ঝামেলার সৃষ্টি হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপর স্ত্রীকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশে ফিরে যেতে চান তিনি। কিন্তু প্রায় দু’সপ্তাহ আগে জামাইকে বাজার পাঠিয়ে ঘরের দরজায় তালা বন্ধ করে মনিকা ও তাঁর মা গা ঢাকা দেন বলে অভিযোগ। বহু খোঁজখবরের পরও তাঁদের সন্ধান না মেলায় মঙ্গলবার জটেশ্বরের পুলিশ ফাঁড়িতে মিসিং ডায়েরি করেছেন দুশান্ত।
এপ্রসঙ্গে এক প্রতিবেশী মহিলা বলেন, ‘তাঁরা কেন এমনটা করল বুঝতে পারছিনা। কতদিন এভাবে থাকবে। এটা ঠিক হয়নি।’ দুশান্ত কুমার বলেন, ‘আমাকে রেখে কোথায় গা ঢাকা দিয়েছে জানিনা। আমি ওঁর সামনাসামনি হতে চাই।’ জটেশ্বর ফাঁড়ির ওসি জগৎ জ্যোতি রায় বলেন, ‘একটি মিসং ডায়েরি জমা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’