Alipurduar | ফের গেমের নেশা প্রাণ কাড়ল তরুণের

Alipurduar | ফের গেমের নেশা প্রাণ কাড়ল তরুণের

শিক্ষা
Spread the love


প্রণব সূত্রধর, আলিপুরদুয়ার: দু’সপ্তাহও কাটেনি। গত রবিবার থেকে বুধবারের মধ্যে তিনটি অপমৃত্যুর ঘটনার নেপথ্যে জড়াল স্মার্টফোন। মৃতের তালিকায় নবতম সংযোজন বছর সাতাশের পঙ্কজ প্রসাদ। আগের দুটি ঘটনার মতোই তাঁরও বাড়ি জংশন এলাকায়। বুধবার বছর সাতাশের ওই তরুণের ঝুলন্ত দেহ মেলে কালীবাড়ি কলোনির একটি বাড়িতে। পরিবারের লোকজনের দাবি, মোবাইলে গেম খেলতে খেলতে লক্ষাধিক টাকার ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই তরুণ।

এর আগে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বাবার কাছে মোবাইল চেয়েও না পাওয়ায় অভিযানে আত্মঘাতী হয়েছিল বলে দাবি করেছিল পরিবার। তারপর মোবাইলে গেম খেলায় অতিরিক্ত আসক্তির জেরে এক তরুণ কয়েকদিন আগে নিজের ঘরে আত্মঘাতী হয় বলে তাঁর পরিবার দাবি করেছিল। এবার এই পঙ্কজের ঘটনা সামনে এল।

আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জংশন ফাঁড়ির ওসি জগদীশ রায় বলেন, ‘মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’

পঙ্কজ রেলের এক ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন। তাঁর বাড়িতেই থাকতেন। ঘটনার সময় তিনি ঠিকাদারের বাড়িতে একাই ছিলেন। তাঁর বাড়ির লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা জানালেন, সম্প্রতি তিনি অনলাইন জুয়া সহ যেসব গেম খেলে টাকা উপার্জনের টোপ থাকে, তাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। প্রথমদিকে মোবাইলে বিভিন্ন গেম খেলে তিনি মোটা টাকা জিতেছিলেন। তার ফলে সেসব খেলার প্রতি তাঁর আকর্ষণ আরও বাড়ে। তারপর শুরু হয় পরাজয়ের পালা। শেষ পর্যন্ত কয়েক লক্ষ টাকা খুইয়েছিলেন তিনি। তা থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে মনে করছে বাড়ির লোকজন।

পঙ্কজের দাদা পাপ্পু প্রসাদ বলেন, ‘ভাইয়ের গেম খেলার নেশা ছিল। তবে অনলাইন জুয়া খেলত কি না, তা জানা নেই।’ পঙ্কজের বন্ধুরা অবশ্য মোবাইলের অনলাইন গেমে তাঁর আসক্তি ও জুয়ায় বিপুল অঙ্কের টাকা হারের কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ফোন করেও পঙ্কজের খোঁজ মিলছিল না। ঠিকাদার ফোন করে পঙ্কজকে না পেয়ে বাড়ির লোকজনকে ফোন করেন। খোঁজখবরের পর বাড়ির লোকজন ও বন্ধুরা মিলে ঠিকাদারের বাড়িতে যান। ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয়। হাঁকডাকে সাড়া না মিললে দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর দরজা ভাঙতেই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে পঙ্কজকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান সকলে। তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে (Alipurduar District Hospital) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের আলিপুরদুয়ার শাখার প্রাক্তন সম্পাদক শান্তনু দত্ত বলেন, ‘মোবাইলে লাগামহীন রঙিন বিনোদনের হাতছানি রয়েছে। আর সেসবে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে সকলে। মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়লে তা মারাত্মক রূপ নিতে পারে। এই বিষয়ে সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *