কামাখ্যাগুড়ি: প্রতারণার অভিযোগে আটক করা হল একজনকে। বুধবার ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের উত্তর পারোকাটায়। যদিও পুলিশের কাছে ধৃতের বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানান, ওই ব্যক্তিকে আটক করে তদন্ত চলছে।
কী ঘটেছিল এদিন? ধৃত ব্যক্তি ডিটারজেন্ট কোম্পানির প্রচারের নাম করে স্থানীয় রবীন্দ্র দে’র বাড়িতে যায়। ডিটারজেন্ট বিনামূল্যে মিলবে, সেইসঙ্গে মিলবে আকর্ষণীয় উপহারও। ধৃতের কথামতো রবীন্দ্র প্যাকেট খোলেন এবং একটি টিকিট পান। টিকিটটি স্ক্র্যাচ করলে জানতে পারেন তিনি টিভি এবং একাধিক পুরস্কার জিতেছেন।
ধৃত রবীন্দ্রকে ৭ হাজার ৮০০ টাকা দিতে বললে সে দিয়েও দেয়। এরপর আরও তিনটি টিকিট থেকে লোভনীয় পুরস্কারের অফার দেওয়া হয়। রবীন্দ্রকে দিয়ে ভিডিওতে বলায় যে তিনি এই পুরস্কারগুলো স্বেচ্ছায় নিচ্ছেন।
এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। অভিযুক্তর পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেন ওই এলাকারই আরেক ব্যক্তি। তিনি সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় সবটা দেখে এবং শুনে সন্দেহ প্রকাশ করেন। অভিযুক্তকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করে। সে জানায়, আলিপুরদুয়ার জেলায় একাধিক ব্যক্তি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলায়। এরপর ওই বাসিন্দা পুলিশকে বিষয়টি জানান। কামাখ্যাগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি শামুকতলা থানার অন্তর্গত হওয়ায় পরে তাকে শামুকতলা রোড ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হয়।
ওই ধৃত জানায়, আলিপুরদুয়ার জেলার অন্যান্য এলাকাতেও একইরকম কায়দায় প্রতারণা চলছে। ভিনজেলা থেকে এসে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে ভুল বুঝিয়ে ঠকানো হচ্ছে। কোথাও সোনার গয়না রং করার নাম করে, আবার কোথাও গ্যাস ঠিক করার করার নাম করে বাড়িতে লোক ঢুকছে।
তিনদিন আগে কামাখ্যাগুড়িতে শান্তিনগর এলাকায় গ্যাস ঠিক করার নাম করে সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। দু’দিন আগে সেখানেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ক্রেতা সেজে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অজ্ঞান করে গয়না লুট করে পালায়। উত্তর পারোকাটার বাসিন্দা বিশ্বনাথ দাস বললেন, ‘এভাবে গ্রামাঞ্চলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে। এতে আমরা আতঙ্কিত।’