Alipurduar | দ্বাদশ-দশমে সাফল্য আলিপুরদুয়ার শহরের

Alipurduar | দ্বাদশ-দশমে সাফল্য আলিপুরদুয়ার শহরের

ব্লগ/BLOG
Spread the love


আলিপুরদুয়ার : ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মাকে হারিয়েছিল টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ পাবলিক স্কুলের দীপায়ন চক্রবর্তী। সে ভবিষ্যতে ক্যানসার নিয়েই গবেষণা করতে চায়। সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৯৮.২ শতাংশ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এরপর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়বে। তারপর ‘নিট’-এ বসার ইচ্ছে আছে বলেও জানায় দীপায়ন। সেই সঙ্গে অঙ্কোলজিস্ট হওয়া এবং ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছে তাঁর। অবসর সময়ে আঁকা ছাড়াও বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে। দীপায়ন ইংরেজিতে ৯৫, বাংলা, অঙ্ক, বিজ্ঞান ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে ৯৯, সোশ্যাল স্টাডিতে ৯৭ পেয়েছে। দীপায়ন এখন থেকেই দ্বাদশের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। পড়াশোনায় বাবার সহযোগিতার কথা বারবার বলে দীপায়ন। ‘মা  চাইতেন আমি যাতে ভালো ফলাফলের পাশাপাশি ভালো মানুষ হই,’ বলে দীপায়ন। ওর বাবা দীপঙ্কর চক্রবর্তী, পেশায় পুলিশ অফিসার। তাঁর কথায়, ‘ছেলে খুব পরিশ্রম করেছিল। কোনওকিছুই ওকে চাপিয়ে দেওয়া হয়নি।’ টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ পাবলিক স্কুলের প্রিন্সিপাল অজিতা মুখোপাধ্যায়ও খুব খুশি তাঁর স্কুলের সাফল্যে।

সিবিএসইর দশম শ্রেণির মতো দ্বাদশ শ্রেণির রেজাল্টও বেরিয়েছে। সেখানে আলিপুরদুয়ার জংশন রেল স্কুলের কলা বিভাগে ব্রতজ্যোতি সাহা ও বিজ্ঞানে অরিত্র ঘোষ ৯৫.৬ শতাংশ পেয়েছে। অরিত্রর ইচ্ছে জীববিদ্যা বা পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করার। ব্রতজ্যোতির ইচ্ছে সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়া কিংবা আইনজীবী হওয়া। কলেজপাড়ার অরিত্র ইংরেজিতে ৯৭, জীববিদ্যা, রসায়ন ও ফিজিকাল এডুকেশনে ৯৮ এবং পদার্থবিদ্যায় ৮৭ পেয়েছে। যদিও এই বিষয়ে আরও বেশি আশা করেছিল। রিভিউ করতে দেবে বলে জানায় অরিত্র। অবসর সময়ে গিটার বাজানো ছিল ওর অভ্যেস। বাবা বিশ্বরূপ ঘোষ শিক্ষক ও মা জয়ন্তী ঘোষ শিক্ষিকা। দুজনের সহযোগিতার কথাই স্বীকার করে অরিত্র।

ব্রতজ্যোতি ইংরেজিতে ৯৪, ইতিহাসে ৯৫, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৩, ভুগোলে ৯৭ ও ফিজিকাল এডুকেশনে ৯৯ পায়। ব্রতজ্যোতির বাবা বিশ্বনাথ সাহা ও মা নন্দিতা সাহাও ছেলের সাফল্যে ভীষণ খুশি। ছেলে ভবিষ্যতে যা পড়তে চায়, তাতেই তাঁর পাশে থাকবেন বলে জানান দম্পতি। স্কুলের প্রিন্সিপাল পঙ্কজকুমার ঝাঁ বলেন, ‘স্কুলের রেজাল্ট ভালো হয়েছে। দশমের পরীক্ষায় আদিত্য কুমার ৯৬ শতাংশ পেয়েছে। সার্বিক ফল খুব ভালো।’

সেইসঙ্গে লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে বাণিজ্য বিভাগ থেকে ৯১.৮ শতাংশ পায় নন্দিনী দাস আর দশমে ৯০.৮ শতাংশ পায় অধয়ন দত্ত রায়। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে দ্বাদশে বিজ্ঞান বিভাগে ৯০ শতাংশ পায় অরণ্যা ধর ও দশম শ্রেণির সমীয়া সিং ৯৬.১৭ শতাংশ পেয়ে স্কুলের সেরা হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *