Alipurduar | ক্যারাটে জাজ-এর মর্যাদা সপ্তপর্ণীকে

Alipurduar | ক্যারাটে জাজ-এর মর্যাদা সপ্তপর্ণীকে

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


আয়ুষ্মান চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: আজ থেকে প্রায় চার দশক আগেকার কথা। সাড়ে তিন বছরের মেয়েটির ইচ্ছে ছিল ক্রিকেট শেখার। কিন্তু সেই সময় মেয়েদের ক্রিকেটের তেমন কোনও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা ছিল না আলিপুরদুয়ারে। তাই ক্যারাটেতে ভর্তি করে দিয়েছিল তাঁর পরিবার। তারপর ক্যারাটেকেই ভালোবেসে এগিয়ে যাওয়া আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকার (Alipurduar) বাসিন্দা সপ্তপর্ণী চক্রবর্তীর। এবার তিনি একেএফ (এশিয়ান ক্যারাটে ফেডারেশন) জাজ-বি হিসেবে মর্যাদা অর্জন করলেন। পশ্চিমবঙ্গে দুজন একেএফ জাজ-বি উত্তীর্ণ মহিলাদের মধ্যে তিনি একজন।

সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে একেএফ রেফারি এবং কোচেস কোর্স ও পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে ক্যারাটে ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন এবং সিকো কাই বেঙ্গল-এর হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে এশিয়ান ক্যারাটে ফেডারেশনের কাতা ও কুমি- পরীক্ষায় পাশ করেছেন সপ্তপর্ণী। জানা যাচ্ছে,  উত্তরবঙ্গের মধ্যে কেউই এর আগে একেএফ পরীক্ষায় কাতা ও কুমি দুটোতে উত্তীর্ণ হননি। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জাজ লাইসেন্স পাওয়ার ফলে তিনি জাতীয় এবং এশিয়ান, যে কোনও ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জাজ তথা রেফারি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন।

সপ্তপর্ণী কলম্বো থেকে ফোনে বললেন, ‘প্রথম থেকেই খুব ভালো লেগে গিয়েছিল ক্যারাটে। এরপর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে শুরু করি। রাজ্য, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা প্রতিযোগিতায় সফল হয়েছি। ২০১০-’১১  সাল থেকে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করি। আমার প্রশিক্ষণে অনেকেই পুরস্কার পেয়েছে। এই সাফল্য আমাকে আরও এগোতে সাহায্য করবে।’

সপ্তপর্ণীর এই সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই গর্বিত তাঁর মা শম্পা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘ও আগাগোড়াই ক্যারাটের প্রতি খুব মনোযোগী। খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক হিসেবে সাফল্য পেয়েছে। এবার এই পরীক্ষায় পাশ করে ওর মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হল।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *