আলিপুরদুয়ার: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আলিপুরদুয়ার পুরসভার তরফে ফুটপাথ থেকে সরানো হয়েছিল দোকানপাট। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে শহরের তিনটি জায়গায় বানানো হয়েছিল ফুড কর্নার। সেই ফুড কর্নারে ব্যবসায়ীদের বসার নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনও কেউ ঠিকভাবে ব্যবসা করেননি সেখানে। কারণ হিসেবে তাঁরা জানাচ্ছেন, আলো ও পরিকাঠামোগত নানা সমস্যার কারণে সেখানে কেউ বসতে চান না। তার বদলে ঠিক আগের মতোই পার্ক রোডের ফুটপাথে বসছেন ব্যবসায়ীরা।
পুরসভার উদ্যোগে ফুড কর্নার তৈরি করা হয়েছিল ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এফসিআই গোডাউন সংলগ্ন এলাকায়। আবার শহরের থানা মোড় এলাকায় তৈরি করা হয়েছিল ফুড কর্নার। এফসিআই গোডাউনের সামনে তিন থেকে চারটি দোকান বসলেও থানা মোড়ে বসছেন না কেউ। শহরের পার্ক রোড সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে ফুটপাথে ব্যবসায়ীরা সারিবদ্ধভাবে বসেছেন। দোকানের সংখ্যাও বেড়েছে। সন্ধ্যা নামতেই ভিড় জমে এলাকায়। একেবারে জমজমাট যাকে বলে। অনেকে আবার সামনে চেয়ার-টেবিল পেতে রেখেছেন।
এক ব্যবসায়ী শীলা ঘোষ পণ্ডিত বলেন, ‘ফুড কর্নারে বসার জন্য বারংবার বলা হলেও থানা মোড়ের ফুড কর্নারে দোকান দেওয়ার মতন বাস্তব পরিস্থিতি নেই। সেখানে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে আবর্জনা। কেউ আসতেই চান না ওখানে, ব্যবসা কীভাবে হবে তাহলে? তাই আপাতত ফুটপাথেই দোকান দিয়েছি। সংসার তো চালাতেই হবে।’
পার্ক রোডে দেখা যায়, কেউ নিজেদের সঙ্গেই এনেছিলেন প্লাস্টিকের চেয়ার, কেউ আবার টোটোকেই ছোটখাটো স্টলের রূপ দিয়েছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, রাস্তা দিয়ে প্রচুর লোক যাতায়াত করেন। এদিক ওদিক যেতেই ঢুঁ মারেন দোকানে। কিন্তু ফুড কর্নারে গেলে এই ক্রেতা পাব না। ব্যবসা খারাপ হলে তার ভরতুকি কে দেবে? যে জায়গায় ফুড কর্নার তৈরি করা হয়েছে সেই জায়গাটি নেশাখোরদের আড্ডার জায়গা। তার সঙ্গেও নানা সমস্যা রয়েছে। তাই সংসার চালানোর জন্য ফুটপাথেই দোকান দিতে হচ্ছে। সঠিক জায়গা দিলে দোকান দেওয়া নিয়ে ভেবে দেখা হবে।’
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মাম্পি অধিকারী বলেন, ‘বারংবার ব্যবসায়ীদের ফুটপাথ থেকে সরে গিয়ে ফুড কর্নারে দোকান দেওয়ার কথা বলা হলেও তাঁরা কেউ কোনও কর্ণপাত করতে চাইছেন না। তাঁদের সকলকে আবারও বলা হবে, এরপর না শুনলে প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।’