আলিপুরদুয়ার: কাজের খোঁজে ঘর ছাড়া এমন ৫ নাবালক-নাবালিকাকে উদ্ধার করল আরপিএফ ও চাইল্ড হেল্পলাইন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই ৫ জনের মধ্যে ৪ জন নাবালককে আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয়। তাদের ৩ জনের বাড়ি নাগরাকাটা এলাকায় ও আরেকজনের বাড়ি কালচিনি ব্লকে। আর ১ জন নাবালিকাকে নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশন থেকে উদ্ধার করে আরপিএফ। তাদের মধ্যেই ২-৩ জন পড়াশোনাও করে। চাইল্ড হেল্পলাইনের জেলা ডিরেক্টর রিয়া ছেত্রী বলেন, ‘ওই ৫ জনকে প্রাথমিক কাউন্সেলিংয়ের পর তারা বাইরে কাজে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।’
সম্প্রতি নাগরাকাটা এলাকার ১ জন নাবালক বাড়ি থেকে একা পালিয়ে গিয়েছিল। আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করে হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় কয়েকমাস পর ওই নাবালক ফের দল বেঁধে ট্রেনে চেপে বসে। তখন তাদের দলে অবশ্য ১ জন তরুণ ছিল। নাগরাকাটা থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন ও পরে সেখান থেকে শিলিগুড়ি হয়ে ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে তারা জানিয়েছে। আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে আরপিএফ ও চাইল্ড হেল্পলাইন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘর ছাড়ার কারণ জানতে পারে। তারপর তাদের উদ্ধার করে চাইল্ড হেল্পলাইন ও সিডব্লিউসির হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের অভিভাবকদের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। নাবালকদের হোমে রাখলেও ওই তরুণকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ওই নাবালিকাটিকে এদিন একা ট্রেনে চড়তে দেখে আরপিএফের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ওই নাবালিকা দক্ষিণ ভারতে কাজে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল। ওই নাবালিকা আরও জানিয়েছিল, দক্ষিণ ভারতে তার প্রতিবেশী কাকিরা কাজ করেন। তাদের উদ্দেশ্যেই ওই নাবালিকাটি ট্রেনে চেপে বসে। তবে নাম, ঠিকানা বা ফোন নম্বর কিছুই ছিল না তার কাছে। ফলে কীভাবে দক্ষিণ ভারতে পৌঁছাত তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। তবে এই বিষয়ে ওই নাবালিকা কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। ওই নাবালিকাটিকেও হোমে রাখা হয়েছে।