উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরির পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। চাইলে আবার উপার্জন করতে পারেন। এরকম একজন শিক্ষিত মহিলার কেবলমাত্র স্বামীর থেকে খোরপোশের (Alimony) টাকা পাওয়ার জন্য বেকার হয়ে বসে থাকার কোনও মানে হয় না। ভরণপোষণের আইনটা সহায়সম্বলহীন বিবাহবিচ্ছিন্নাকে সাহায্য করার জন্য তৈরি হয়েছে। কাউকে অলসভাবে অন্যের ঘাড়ে বসে খাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য এই আইন নয়। সম্প্রতি এক দাম্পত্য কলহের মামলায় এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi Excessive courtroom)।
ওই দম্পতির ২০১৯ সালে বিয়ে হয় এবং বিয়ের পরই তাঁরা সিঙ্গাপুরে চলে যান। কিন্তু সেখানে মহিলা নিষ্ঠুরতার শিকার হন বলে অভিযোগ। তাই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে ফিরে আসেন ওই মহিলা। পরে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। স্বামীর থেকে মাসে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার করে ভরণপোষণের আর্জি জানান। কিন্তু সেখানে মহিলার অন্তর্বর্তী খোরপোশের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। পারিবারিক আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মহিলা। হাইকোর্টেও মহিলার আর্জি প্রত্যাখ্যাত হয়। এই রায় দেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি চন্দ্রধারী সিং।
এই মামলায় অভিযোগকারী মহিলা যথেষ্ট শিক্ষিত। ২০০৬ সালে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দুবাইয়ে কাজ করতেন তিনি। তবে এরপর থেকে তিনি আর কোনও কাজ করেননি। মহিলার দাবি, তাঁর ডিগ্রি, শেষ চাকরি এবং বিয়ের মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান রয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় তিনি চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও মহিলার স্বামীর পালটা যুক্তি, স্ত্রী উচ্চশিক্ষিত এবং নিজে উপার্জন করার ক্ষমতা রাখেন। তাই বেকারত্বের কারণ দেখিয়ে তিনি খোরপোশ চাইতে পারেন না।
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত জানিয়েছে, স্ত্রী যথেষ্ট উচ্চশিক্ষিত এবং শারীরিকভাবে সক্ষম। এই ঘটনার ক্ষেত্রে মহিলা যেভাবে নিজেকে পেশ করেছেন, তাতে মনে হয়েছে আদালতকে বোঝাতে চাইছেন যে, তিনি উপার্জনে অক্ষম। এই মামলায় মহিলা অন্তর্বর্তী ভরণপোষণ পাওয়ার যোগ্য নন বলেই মনে করছে আদালত। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং চাকরির পূর্ব অভিজ্ঞতা দেখে এমন কিছু ভাবার কারণ নেই যে, তিনি ভবিষ্যতে নিজের খরচ বহন করতে পারবেন না।