মুম্বই: ৩৬ রানের ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির উত্থান। বিরাট কোহলির অবর্তমানে পরের টেস্টেই অধিনায়কোচিত শতরানে বদলে দিয়েছিলেন সিরিজের ভাগ্য। আজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে প্রথম টেস্ট সিরিজ (২০২০-’২১) জেতার ইতিহাস গড়েছিল ভারত। মাঝে বেশ কয়েক বছর পার। বদলেছে অনেক কিছু। সেদিনের সফল অধিনায়ক আজ ভারতীয় দলের বাইরে।
অবশ্য গত বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে ডাক পেয়েছিলেন রাহানে। তবে বাইশ গজে নয়, দায়িত্বটা কমেন্ট্রি বক্সে। বড় অঙ্কের প্রস্তাব থাকলেও ফিরিয়ে দেন। মুম্বই রনজি ট্রফি দলের অধিনায়ক রাহানে বলেছেন, ‘বিশেষজ্ঞের দায়িত্ব। বিশাল অঙ্কের অর্থও ছিল। কিন্তু যেহেতু নিজে এখনও খেলছি, তাই সতীর্থদের পারফরমেন্সের কাটাছেঁড়া সঠিক মনে হয়নি আমার কাছে।’
দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকলেও হতাশ নন। লড়াই জারি। বিদর্ভের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ রনজি ট্রফিতে এদিন দল নিয়ে নেমেও পড়েছেন রাহানে। টানা দ্বিতীয়বার রনজি জয়ে চোখ। প্রথমদিনের শেষে বিদর্ভ অবশ্য ৩০৮/৫ স্কোরে পৌঁছে ভালো জায়গায় রয়েছে। দলের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সাফল্যে টিম ইন্ডিয়ার দরজা খোলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী আজিঙ্কা। আসলে লড়াইটা মজ্জাগত। ছোট্ট থেকে ক্রিকেট কিটস নিয়ে একাকী লড়াই শুরু।
নিজের জীবনযুদ্ধের অজানা কাহিনী নিয়ে রাহানে বলেছেন, ‘ডোম্বিভালি থেকে প্রতিদিন ট্রেনে চেপে একাই প্র্যাকটিসে যেতাম। বাবার অফিস থাকত। তাই আট বছর বয়স থেকেই একা যাতায়াত। বাবার মাইনে খুব বেশি ছিল না। মা তাই বাচ্চাদের দেখাশোনার কাজ করত। যা কখনও ভুলিনি। তাই পা সবসময় মাটিতে থাকে। অর্থ-খ্যাতি সবই ক্রিকেটের হাত ধরে পাওয়া।’
লাজুক, মিতভাষী। জবাব দিতে পছন্দ করেন ব্যাট হাতে। সেই রাহানেই ফের তোপ দাগলেন অজিত আগরকারদের বিরুদ্ধে। দাবি, টেস্ট দল থেকে বাদ দেওয়ার পর ফোন করে জানানোর ন্যূনতম সৌজন্য দেখায়নি। ‘অনেকে বলেছিল কথা বলতে। কিন্তু উলটো দিকে যাঁরা (পড়ুন আগরকার) রয়েছেন, তাঁরা কথা বলতে রাজি হলে তবেই আলোচনা সম্ভব। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পর যেভাবে বাদ দেওয়া হয়, তা মানতে কষ্ট হচ্ছিল। নিজেকে তৈরি রাখতে প্রচুর পরিশ্রম করেছিলাম। নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল। ভেবেছিলাম অন্তত গোটা ২-৩টি সিরিজে সুযোগ পাব। কিন্তু ভারতীয় দলে আমার অবদান, অভিজ্ঞতা গুরুত্ব পায়নি,’ অভিযোগ রাহানের।