উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যেক বাড়িতেই এখন দেখা মেলে রুম ফ্রেশনারের। সামান্য গুমোট গন্ধ পেলেই ঘরে ফ্রেশনার স্প্রে করে দেন অনেকে। কিন্তু ঘনঘন রুম ফ্রেশনার স্প্রে করলে কিন্তু শরীরেরই ক্ষতি হয়। তাই এইভাবে ঘনঘন স্প্রে করার অভ্যাস খানিকটা হলেও কমাতে হবে। এই রুম ফ্রেশনার স্প্রে (Air Freshener) করার ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা জেনে নিন।
১. হাঁপানি বা অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে রুম ফ্রেশনার বেশি ক্ষতিকারক। এই স্প্রে-র ফলে অনেকের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। যে সব উপাদান দিয়ে এগুলি বানানো হয়, সেগুলি ফুসফুসে অস্বস্তি তৈরি করে। ফলে কাশি, শ্বাসকষ্ট বা টান দেখা দিতে পারে।
২. অনেক সুগন্ধি পণ্যের সঙ্গে থ্যালেটস (এক প্রকার রাসায়নিক, যা প্রাথমিক ভাবে প্লাস্টিক উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন রূপচর্চার পণ্য থেকে শুরু করে ফুড প্যাকেজিংয়ের সময়েও ব্যবহার করা হয় এগুলি) যোগ করা হয় যাতে সুন্দর গন্ধ দীর্ঘমেয়াদি হয়। কিন্তু এগুলিই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই রাসায়নিকগুলি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
৩. রুম ফ্রেশনারের মধ্যে ক্ষতিকারক যৌগ পাওয়া যায় মাঝেমধ্যেই। এই রাসায়নিকগুলি দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসে মিশে যায় সুগন্ধ তৈরি করার জন্য। এতে ঘরে সুন্দর গন্ধ ছড়ায় ঠিকই, কিন্তু পাশাপাশি অ্যাসিটোন, ইথানল এবং লিমোনিনের মতো ক্ষতিকারক যৌগ চোখে, গলায়, ফুসফুসে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার করলে লিভার ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪. এই সমস্ত বায়ুবাহিত রাসায়নিক আপনার পোষ্যের জন্যেও খারাপ। তা সারমেয় হোক বা বিড়াল অথবা পাখি। তাদেরও হাঁচি-কাশির সমস্যা হয়। ত্বকেও প্রভাব পড়তে পারে পোষ্যের। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় তাদেরও।