Ahmedabad Airplane Crash | বোয়িং বিমানের জ্বালানির সুইচে ত্রুটি! ২০১৮ সালেই সতর্ক করেছিল মার্কিন সংস্থা

Ahmedabad Airplane Crash | বোয়িং বিমানের জ্বালানির সুইচে ত্রুটি! ২০১৮ সালেই সতর্ক করেছিল মার্কিন সংস্থা

খেলাধুলা/SPORTS
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার প্রকাশ্যে এসেছে আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট (Ahmedabad Airplane Crash)। যেখানে জ্বালানির সুইচের পরিবর্তনকেই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে (Gasoline management swap subject)। কারণ উড়ানের পর জ্বালানির সুইচ আচমকাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে ইঞ্জিনে ফুয়েল পৌঁছাতে পারছিল না। তারপরেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি। কিন্তু বোয়িং সংস্থার কিছু বিমানের জ্বালানির সুইচে যে ত্রুটি রয়েছে, সে ব্যাপারে ৭ বছর আগেই সতর্ক করেছিল মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA)। আর এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বোয়িং বিমানটি ওই ধরনের বিমান ছিল বলে জানা গিয়েছে।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছিল, কিছু বোয়িং ৭৩৭ বিমানের (Boeing 737 jets) জ্বালানি নিয়ন্ত্রণকারী সুইচগুলি ‘লকিং ফিচার’ বিচ্ছিন্ন করে লাগানো হয়েছিল। তবে এনিয়ে কেবল একটি পরামর্শ জারি করা হয়েছিল। তাই বোয়িংয়ের ওই বিমানগুলিকে অসুরক্ষিত বলে চিহ্নিত করা হয়নি। যেহেতু এটি বাধ্যতামূলক ছিল না, তাই এয়ার ইন্ডিয়ার তরফেও বিষয়টি নিয়ে কোনও আলাদা পদক্ষেপ করা হয়নি। মূলত জ্বালানি নিয়ন্ত্রণকারী এই সুইচ মূলত ইঞ্জিনে জ্বালানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। পাইলটরা রানওয়েতে ইঞ্জিন চালু বা বন্ধ করার জন্য এগুলি ব্যবহার করেন। মাঝআকাশে ইঞ্জিন বিকল হলে ইঞ্জিন বন্ধ বা পুনরায় চালু করার জন্যও এগুলি ব্যবহার করা হয়।

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্টে উঠে এসেছে যে, বিমান ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দু’টি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জ্বালানির সুইচ ‘রান’ (চালু) থেকে ‘কাটঅফ’ (বন্ধ)-এ চলে এসেছিল। এই সময়ে এক পাইলট অন্য পাইলটকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেন তুমি ফুয়েল বন্ধ করে দিলে?’। অন্যজন উত্তর দেন, ‘আমি কিছু বন্ধ করিনি।’  ইঞ্জিনে ফুয়েল পৌঁছোচ্ছিল না বলেও জানা গিয়েছে। তাই মুহূর্তের মধ্যে বিমানের গতি এবং উচ্চতা কমতে থাকে। পাইলটরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইঞ্জিন চালুর মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। ইঞ্জিন-২ সাময়িকভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় ফেরানো গেলেও ইঞ্জিন-১ আর চালু করা যায়নি। পাওয়া যায়নি ‘থ্রাস্ট’। ফলে মুহূর্তের মধ্যে বিমানটি সামনের বহুতলে ধাক্কা খায় এবং ভেঙে পড়ে। যদিও ওই রিপোর্টে কোথাও পাখির ধাক্কার কথাও উল্লেখ নেই। তবে আসল কারণ চূড়ান্ত রিপোর্ট আসলেই স্পষ্ট হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *