উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা (Ahmedabad Airplane Crash) নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট খুব দ্রুত প্রকাশ করা হবে। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু (K Rammohon Naidu)। ১২ জুন আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমান বন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে উড়ান শুরু করার পরই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান এআই ১৭১। যাত্রী ও ক্রু সহ বিমানে থাকা ২৪১ জনের মৃত্যু হয়। প্রাণে বেঁচে যান মাত্র ১ জন। এছাড়া যেখানে বিমানটি ভেঙে পড়ে সেখানে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়। ভারতে গত ৩ দশকে এতবড় অসামরিক বিমান দুর্ঘটনা হয়নি। আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (ICAO)-র নিয়ম অনুযায়ী, সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হয়। আগামীকাল দুর্ঘটনার ১ মাস পূর্ণ হচ্ছে।
এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (Plane Accident Investigation Bureau) দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন করেছে বলে জানা গেছে। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী এদিন তদন্তে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন ‘এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো তদন্তের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করছে, এটা ওদের দায়িত্ব, ওদের সেই কাজ করতে দেওয়া উচিত।’ যদিও প্রাথমিক এই রিপোর্টে দুর্ঘটনার চূড়ান্ত কারণ নাও জানা যেতে পারে। তবু এই রিপোর্ট থেকে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে সে সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই শুরু হবে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরবর্তী ধাপ।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল ভিত্তিক অ্যাভিয়েশন পাবলিকেশন কোম্পানি ‘দ্য এয়ার কারেন্ট’-এর একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, তদন্তকারীদের মূল নজর বিমানের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচের দিকে। এই সুইচ দুটো ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়াও সফটওয়্যারের সমস্যা ছিল কিনা তাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।