Ahmedabad Aircraft Crash | প্লেনে উঠে ৩ ছেলেমেয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সেলফি চিকিৎসক দম্পতির! তারপরই সব শেষ

Ahmedabad Aircraft Crash | প্লেনে উঠে ৩ ছেলেমেয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সেলফি চিকিৎসক দম্পতির! তারপরই সব শেষ

খেলাধুলা/SPORTS
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় ২৪২ জন মানুষকে নিয়ে ভেঙে পড়া বিমানটির ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কোথাও হয়তো চাপা পড়ে রয়েছে একটি মোবাইল ফোন। ফোনটি আর হয়তো কখনও খুঁজেও পাওয়া যাবে না। হয়তো আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে সেটি। তবুও সেই ফোনে তোলা একটি সেলফি থেকে গেল হৃদয়বিদারক এক ট্রাজেডির জীবন্ত স্মৃতি হিসাবে। অভিশপ্ত বিমানটিতে বসে নিজেদের শেষ সেলফিটি তুলেছিলেন ডা. প্রতীক জোশি এবং সেলফিটিতে ধরা পড়েছিল তাঁর গোটা পরিবার। এদিনের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে গোটা পরিবারটির, কিন্তু থেকে গিয়েছে ছবিটি।
ছবিটিতে ফুটে উঠেছে এক নতুন জীবনের সূচনার আনন্দ। কারণ, উদয়পুরের একটি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক কোমি ব্যাস সম্প্রতি চাকরি ছেড়ে দেন। লন্ডনে স্বামী ডঃ প্রতীক জোশির সঙ্গে থাকার জন্য সন্তানদের নিয়ে তিনি পাড়ি দিচ্ছিলেন নতুন জীবনের উদ্দেশ্যে। কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাসে চলে গেল সেই জীবনটাই।

অভিশপ্ত বিমানটিতে তোলা সেই শেষ সেলফিতে দেখা যাচ্ছে, হাসিমুখে বসে আছেন ডঃ প্রতীক ও ডঃ কোমি, পাশের সিটে তাঁদের যমজ পুত্র নকুল ও প্রদ্যুত এবং বড় মেয়ে মিরায়া। ছেলেরা ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসতে চেষ্টা করছে, মেয়ে মিরায়ার মুখে নির্ভেজাল উচ্ছ্বাস।

প্রসঙ্গত, ডঃ কোমি ও ডঃ প্রতীক, দুজনেই একসময় উদয়পুরের প্যাসিফিক হাসপাতালে কাজ করতেন। পরে ডঃ প্রতীক লন্ডনে চলে যান। সম্প্রতি তিনি রাজস্থানের বানসওয়ারায় এসেছিলেন স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য। জানা গিয়েছে, তাঁদের যমজ পুত্রদের বয়স মাত্র পাঁচ আর কন্যা মিরায়া আট বছরের।

ঘটনাপ্রসঙ্গে ডঃ জোশির কাজিন নয়ন বলেন, “প্রতীক মাত্র দু’দিন আগে এসেছিলেন। পুরো পরিবার তাঁদের বিদায় জানাতে এসেছিল। গতকাল তাঁরা আহমেদাবাদ রওনা দিয়েছিলেন লন্ডনের বিমানে ওঠার জন্য।” ডঃ কোমির ভাই প্রবুদ্ধ জানান, দশ বছর আগে কোমির সঙ্গে প্রতীকের বিয়ে হয়েছিল। প্রতীকের বাবা একজন বিশিষ্ট রেডিওলজিস্ট এবং কোমির বাবা পূর্ত দপ্তরের (PWD) একজন কর্মকর্তা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *