Ahmedabad Aircraft Crash | ‘তুমি কেন ফুয়েল বন্ধ করে দিলে?’, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের পাইলটদের কথোপকথন প্রকাশ্যে

Ahmedabad Aircraft Crash | ‘তুমি কেন ফুয়েল বন্ধ করে দিলে?’, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের পাইলটদের কথোপকথন প্রকাশ্যে

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে উড়ান শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান এআই ১৭১ (Ahmedabad Aircraft Crash)। যাত্রী ও ক্রু সহ বিমানে থাকা ২৪১ জনের মৃত্যু হয়। প্রাণে বেঁচে যান মাত্র ১ জন। সেই ঘটনার ঠিক এক মাসের মাথায় শনিবার সামনে এল দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট।

আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমান দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখে ‘এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ ১৫ পাতার একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। তাতে মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে টেকঅফের পরই বিমানের দু’টি ইঞ্জিনের একসঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা। শেষ মুহূর্তে বিমানের পাইলটদের মধ্যে হওয়া কথোপকথনেও মিলেছে বড় তথ্য।

বিমানটি যেখানে ভেঙে পড়ে, সেখান থেকেই উদ্ধার হয় দু’টি ব্ল্যাকবক্স। যার মধ্যে একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার। সেখানে দুর্ঘটনার সময়ের ককপিটে পাইলটদের কথোপকথন রেকর্ড হয়। সেই তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, বিমান ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দু’টি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জ্বালানির সুইচ ‘রান’ (চালু) থেকে ‘কাটঅফ’ (বন্ধ)-এ চলে এসেছিল। এই সময়ে এক পাইলট অন্য পাইলটকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেন তুমি ফুয়েল বন্ধ করে দিলে?’। অন্যজন উত্তর দেন, ‘আমি কিছু বন্ধ করিনি।’ রিপোর্ট অনুযায়ী, ইঞ্জিন-১ এবং ইঞ্জিন-২ রানওয়ে ছাড়ার পরই বন্ধ হয়ে যায়। ইঞ্জিনে ফুয়েল পৌঁছোচ্ছিল না। মুহূর্তের মধ্যে বিমানের গতি এবং উচ্চতা কমতে থাকে। পাইলটরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইঞ্জিন চালুর মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। ইঞ্জিন-২ সাময়িকভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় ফেরানো গেলেও ইঞ্জিন-১ আর চালু করা যায়নি। পাওয়া যায়নি ‘থ্রাস্ট’। রিপোর্টে কোথাও পাখির ধাক্কার কথা উল্লেখ নেই। আপাতত যে সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি পৃথক করা হয়েছে। ঠিক কী কারণে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।

গত ১২ জুন আহমেদাবাদে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমান। বিমানটি আহমেদাবাদে থেকে গ্যাটউইকের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। ভারতে গত ৩ দশকে এতবড়ো অসামরিক বিমান দুর্ঘটনা হয়নি। আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (ICAO)-র নিয়ম অনুযায়ী, সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হয়। ভারত সেই সদস্য রাষ্ট্রগুলির অন্তর্ভুক্ত। সেই নিয়মে রিপোর্ট প্রকাশের কথা ছিলই। এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (Plane Accident Investigation Bureau) এই সপ্তাহেই সংসদীয় কমিটিকে রিপোর্ট প্রকাশের কথা জানায়। সেই মতোই এদিন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *