উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সামিট ঘিরে এখন সাজ সাজ রব। আগামী সপ্তাহে চিনের তিয়ানজিনে বসতে চলেছে এসসিও সম্মেলন। সেখানে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Jinping) স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Putin)। সব মিলিয়ে মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক নেতা উপস্থিত থাকবেন ওই সম্মেলনে।
৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে ওই সামিট। ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর এই প্রথম মোদি চিনে যাচ্ছেন। সেখানে এক মঞ্চে পুতিন, জিনপিং ও মোদির উপস্থিতি কূটনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
উল্লেখ্য, মার্কিন আগ্রাসন ঠেকাতে বেজিংয়ের তরফে ভারত ও চিনকে একজোট হওয়ার বার্তা এসেছে। এমন অবস্থায় মোদির এই সফরের মুখ্য উদ্দেশ্য এসসিও সম্মেলন হলেও এর নেপথ্যে অন্য অঙ্কও থাকতে পারে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শুল্ক নিয়ে আমেরিকার (America) সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার সঙ্গেও আমেরিকার সম্পর্ক খারাপ। আর চিনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক তো সকলেই জানে।
এছাড়াও ভারত সহ একাধিক দেশে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, ব্রিকস (BRICS) গোষ্ঠীতে যে সমস্ত দেশ রয়েছে তারা আমেরিকা বিরোধী। এই মন্তব্যে মূলত সরাসরি ভারত-চিন-রাশিয়াকে নিশানা করেছিলেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতে বলা যায়, এসসিও সামিট আমেরিকার বিরুদ্ধে একটি শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ।