সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইনস্টাগ্রামের একটা রিলই ধরিয়ে দিল সাত বছর ধরে বেপাত্তা স্বামীকে। আর পর্দাফাঁস হতেই দেখা গেল, বিয়ে করে নতুন সংসার পেতেছে সেই গুণধর।
উত্তরপ্রদেশের হরদোইয়ের ঘটনা। ২০১৭ সালে শিলুর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল জিতেন্দ্র কুমার ওরফে বাবলুর। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মধ্যেই দু’জনের সম্পর্কে চিড় ধরে। শিলুর অভিযোগ, সোনার চেন এবং আংটি পণবাবদ চেয়ে দীর্ঘদিন তাঁকে নিগ্রহ করত বাবলু। এমনকী, দাবি পূরণ না হওয়ায়, শিলুকে বাড়ি থেকে বেরও করে দিয়েছিল সে। এর পর শিলু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ পণ চেয়ে বধূ নির্যাতনের এই ঘটনার তদন্তে নামে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, তদন্ত চলাকালীনই হঠাৎ বেপাত্তা হয়ে যায় জিতেন্দ্র। ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল জিতেন্দ্রর পরিবারের তরফে মিসিং ডায়েরি করা হয়, শুরু হয় অনুসন্ধান। কিন্তু কোনও খোঁজ জিতেন্দ্রর মেলেনি।
জিতেন্দ্রর পরিবারের তরফে তখন অভিযোগ করা হয় যে জিতেন্দ্রর অন্তর্ধানের পিছনে শিলু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদেরই হাত রয়েছে। অভিযোগ করা হয়, শিলুর পরিবারের লোকজনই হয়তো জিতেন্দ্রকে খুন করে, দেহ লোপাট করে দিয়েছে। এত কিছু সত্ত্বেও শিলু প্রায় সাত বছর ধরে অপেক্ষা এবং আশায় ছিলেন যে জিতেন্দ্র বেঁচে আছে এবং হয়তো একদিন ফিরে আসবে। এরই মধ্যে একদিন তাঁর চোখে পড়ে একটি ইনস্টাগ্রাম রিল। শিলু দেখেন, ওই রিলে এক মহিলার সঙ্গে রয়েছে জিতেন্দ্র। চিনতে পেরেই বিষয়টি কোতোয়ালি সান্দিলা থানায় জানান শিলু। পুলিশ আবারও তদন্ত শুরু করে। দেখা যায়, জিতেন্দ্র নিজে থেকেই নিজের অন্তর্ধান-কাহিনি বানিয়েছিল।
তদন্তে জানা যায় উত্তরপ্রদেশ থেকে লুধিয়ানায় পালিয়ে গিয়েছিল জিতেন্দ্র। সেখানে গিয়ে সে আবারও বিয়ে করে এবং নতুন করে সংসার পাতে। পুরো ব্যাপারটা হয়তো কোনওদিন শিলু জানতেই পারতেন না, যদি না সোশাল মিডিয়ার দৌলতে ওই রিল তাঁর চোখে পড়ত।