সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে ফেরার পরই মার্কিন তেল আমদানির পরিমাণ হুহু করে বাড়িয়েছে ভারত। সূত্র মারফত পাওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে চলতি বছরে মার্কিন তেল আমদানি। কেবল অশোধিত তেল নয়, এলপিজি এবং এলএনজির মতো গ্যাসও আগের থেকে অনেক বেশি পরিমাণে কেনা হচ্ছে আমেরিকা থেকে।
সরকারি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে প্রত্যেক দিন আমেরিকা থেকে গড়ে ২.৭১ লক্ষ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে ভারত। গত বছর এই ৬ মাসে সংখ্যাটা ছিল গড়ে ১.৮ লক্ষ ব্যারেল প্রতিদিন। শুধু তাই নয়, ট্রাম্প যখন শুল্কযুদ্ধের ঘোষণা করে দিয়েছেন সেই সময় আমেরিকা থেকে তেল কেনার পরিমাণ আরও বাড়িয়েছে ভারত। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে যে পরিমাণ মার্কিন তেল আমদানি করেছিল ভারত, এবছর তার থেকে ১১৪ শতাংশ বেশি তেল কিনেছে ভারত। বেশি পরিমাণ তেল আমদানির ফলে মার্কিন কোষাগারের অনেকটাই ভরছে ভারতীয় অর্থে।
চলতি বছরের জুন মাসে আমেরিকা থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয়েছিল, জুলাই মাসে তার থেকে ২৩ শতাংশ বেশি তেল আমদানি করা হয়েছে ভারতে। ট্রাম্পের শুল্ক চাপানোর পর এই আমদানি কমা তো দূর, বরং চলতি অর্থবর্ষে মার্কিন তেলের আমদানি বৃদ্ধির হার ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে বলেই মত বাণিজ্য মহলের। অশোধিত তেলের পাশাপাশি এলপিজি এবং এলএনজি গ্যাসও প্রচুর পরিমাণে আমদানি করা হচ্ছে আমেরিকা থেকে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর আমেরিকা থেকে এই দুই গ্যাসের আমদানি দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।
এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসার পর থেকে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার তেলের ক্ষেত্রে রাশিয়ার পাশাপাশি আমেরিকার উপরেও নির্ভরশীল হচ্ছে ভারত? সরকারি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারতে রুশ আমদানি কমার কোনওরকম সম্ভাবনাই নেই। কিন্তু ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের দেশ থেকেও তেল আমদানি বাড়াচ্ছে ভারত। উল্লেখ্য, আমেরিকা সরাসরি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ভারতের রুশ তেল কেনা নিয়ে। এহেন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের ‘গোঁসা’ ভাঙাতে ভারত বেশি করে মার্কিন তেল আমদানি করছে কিনা, থাকছে সেই প্রশ্নও।