৬৫ কোটি টাকা দুর্নীতিতে ফের ইডির তলব, আরও বিপাকে ডিনো মোরিয়া

৬৫ কোটি টাকা দুর্নীতিতে ফের ইডির তলব, আরও বিপাকে ডিনো মোরিয়া

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিঠি নদীর পলি নিষ্কাশন কেলেঙ্কারির তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই যেন বিপাকে অভিনেতা ডিনো মোরিয়া। ৬৫ কোটি টাকার দুর্নীতির তদন্তে ফের তাঁকে তলব করেছে ইডি। এর আগে বয়ান রেকর্ড করার জন্য তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, শুধু ডিনো মোরিয়া নয়, তাঁর ভাই স্যান্টিনো মোরিয়াকেও তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

তলবের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে ডিনো মোরিয়ার বান্দ্রার বাড়িতে প্রায় ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। অভিনেতার বাড়ির পাশাপাশি মুম্বই এবং কোচির মোট ১৪টি জায়গা চলে তল্লাশি। ওই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ডিনোর ভাইয়ের বাড়ি নির্মাতা এবং মিডলম্যানদের বাড়িতেও তল্লাশি চলে। এর আগে মুম্বই পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইংস অভিনেতা ডিনো মোরিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে ইকোনমিক অফেন্স উইংস মোট ১৮ লক্ষ টাকা দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছে। যে সংস্থার মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয়েছে ওই সংস্থার ডিরেক্টর ডিনো মোরিয়ার ভাই স্য়ান্টিনো মোরিয়া। জানা গিয়েছে, কেতন কদম নামে মূল অভিযুক্তের কাছ থেকে টাকা লেনদেন হয়েছে। তার সঙ্গে ডিনো মোরিয়া এবং তাঁর ভাই সান্তিনো মোরিয়ার একাধিকবার ফোনে কথা হয়েছে। কললিস্ট ঘেঁটে সেই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই ইডির স্ক্যানারে বলিউড অভিনেতার।

উল্লেখ্য, বাণিজ্যনগরীতে মিঠি নদী বরবারই গুরুত্বপূর্ণ। বন্যা প্রতিরোধের জন্য এই নদীখাতের পলি পরিষ্কার করার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল মুম্বই প্রশাসন। মিঠি নদীর পলি সরানো এবং সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প সম্পর্কিত নানা কাজে হাজার কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আর সেই মামলাতেই বর্তমানে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই আর্থিক দুর্নীতির জন্য সরকারি তহবিলের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেই হিসেব নিকেশ করতেই এবার আরও জোরদার তদন্ত শুরু হয়েছে।

মিঠি নদীর পলি নিষ্কাশনে ৬৫ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে এদিন মুম্বই এবং কেরলের ১৫টি এলাকায় তদন্ত অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। সেই তালিকায় বলিউড অভিনেতা ডিনো মোরিয়া যেমন রয়েছেন, তেমনই বৃহন্মুম্বই পৌরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্ত রামুগাড়ে এবং আরও বেশ ক’জন ঠিকাদারও রয়েছেন। মিঠি নদী পরিষ্কার করার জন্য যে কর্মীদের নিযুক্ত করা হয়েছিল, তারা ভুয়ো লগবুক, স্লিপ জমা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভাড়া করা যন্ত্রপাতি বাবদ অতিরিক্ত ৩ কোটি টাকার বিল বানানোর অভিযোগও রয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *